সারা বিশ্ব আজ করোনা ভাইরাসের করাল গ্রাসে জর্জরিত। প্রতিনিয়ত মারা যাচ্ছে মানুষ। কর্মহীন হয়ে পড়েছে প্রায় সবাই। সমাজের খেটে খাওয়া মানুষের অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ। যেখানে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার সবাইকে বাড়ি থেকে বাইরে না বের হওয়ার এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে। সেখানে খেটে খাওয়া এই মানুষগুলো বাইরে বের না হলে, কাজ না করলে খাবার যোগাড় হবে কিভাবে? তারা কি অনাহারেই মারা যাবে? এই পরিস্থিতি কারোই কাম্য নয়।
সমাজের এই মানুষগুলোর মুখে কিছুটা হাসি ফোটাতে এগিয়ে এসেছে স্বেচ্ছাসেবী অলাভজনক সংগঠন এইম ইনিশিয়েটিভ ফাউন্ডেশন। সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে সুবিধাবঞ্চিত অসহায় ৫০ টি সংখ্যালঘু পরিবারের পাশে দাড়িয়েছে এই সংগঠনটি। আজ শুক্রবার সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ঐতিহ্যবাহি সোহাগপুর শ্যামকিশোর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এই ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন সিরাজগঞ্জে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচির সমন্বয়কারী এইম ইনিশিয়েটিভ ফাউন্ডেশন এর প্রতিনিধি রুবাইয়াত হাসান রবিন। অন্যান্য দের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সমাজ ও মানবাধিকার কর্মী তানভীর আনজুম তুষার, সমাজসেবক এস.এম ওমর ফারুক, আমির হোসেন সহ অন্যান্য সেচ্ছাসেবী বৃন্দ। সমাজকর্মী তানভীর আনজুম তুষার এই সময় মানুষের দূর্দশাময় অভাবের দিনে এমন মহতী উদ্দ্যোগ আয়োজনের জন্য এইম ইনিশিয়েটিভ ফাউন্ডেশন এর সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠা পায় এইম ইনিশিয়েটিভ ফাউন্ডেশন। যাদের মূল লক্ষ্য ছিল সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা। গত প্রায় ৩ বছর ধরে এ মানবিক কাজ করে যাচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানটি। ঢাকার প্রাণকেন্দ্র রামপুরা এলাকার মেরাদিয়ায় অবস্থিত এ প্রতিষ্ঠান টির রয়েছে নিজস্ব একটি বিদ্যালয়। যেখানে গরীব শিশুরা বিনামূল্যে প্রথম থেকে ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত পড়াশোনা করার সুযোগ পায়।
বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে মানবিক ডাকে সাড়া দিয়ে তাড়া নিয়েছে নানা মানবিক উদ্যোগ। এর মধ্যে প্রথম ঢাকার দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত প্রায় ১৫০০ পরিবারের খাদ্য চাহিদা নিশ্চিত করা।দ্বিতীয়ত চিকিৎসকদের বিনামূল্যে পিপিই সরবরাহ করা। তৃতীয়ত ঘুরে দাড়াও একটি প্রকল্পের মাধ্যমে করোনা পরবর্তী দরিদ্র মানুষের বেকারত্ব দূরীকরণ কর্মসূচী।
ইতিমধ্যে তারা ১৫০ পরিবারের মাঝে প্রায় ২০ দিনের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন। এবং আরো ১০০ জনের সাহায্য পৌছে দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।পর্যায়ক্রমে ১৫০০ পরিবারের দায়িত্ব তারা নিবেন বলে নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক সাবরিনা হাবিব অন্তরা। তাদের এই মহতী কার্যক্রমে তারা সকলকে পাশে থাকার আহবান জানিয়েছেন।