Home » ২০ এপ্রিলের পর কী খুলবে, তালিকায় যুক্ত হল নতুন বিষয়

২০ এপ্রিলের পর কী খুলবে, তালিকায় যুক্ত হল নতুন বিষয়

নয়াদিল্লি: দ্বিতীয় দফার লকডাউন ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। চলবে ৩ মে পর্যন্ত। তবে ২০ এপ্রিলের পর বেশ কিছু জিনিসে ছাড় দেওয়া হয়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে তার গাইডলাইন আগেই প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। এবার সেই তালিকায় আরও কিছু যুক্ত করা হল।
তবে এইসবই দেশের সেইসব জায়গায় অনুমোদন পাবে, যেখানে আক্রান্তের হার কম।

জানা গিয়েছেন, নন ব্যাংকিং ফিনান্স কর্পোরেশন ও মাইক্রো ফিনান্স ইনস্টিটিউটগুলি জরুরি পরিষেবার তালিকায় যুক্ত হবে। নারকেল, বাঁশ ও কোকোয়া গাছ বসানোর কাজ চলবে। আদিবাসীরা যে চাষবাস বা গাছ লাগানোর কাজ করেন, তা করা যাবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দেওয়া নোটিফিকেশনে বলা হয়েছে, গ্রামাঞ্চলে জল সরবরাহ, বিদ্যুৎ সরবরাহ ও টেলিকমের অপটিক্যাল ফাইবার বসানোর কাজ করা যাবে।

এছাড়া কেন্দ্রের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আমাজন, ফ্লিপকার্ট ও স্ন্যাপডিলের মত ই-কমার্স সাইটের মাধ্যমে মোবাইল ফোন, টিভি, ফ্রিজ, ল্যাপটপ, জামাকাপড়, ওষুধ ও মুদিখানার জিনিসপত্র বিক্রি করা যাবে। তবে ওই সব সংস্থার গাড়ি রাস্তায় চালানোর জন্য অনুমতি নিতে হবে।

এছাড়া, ২০ এপ্রিলের পর যেসব কাজ করার অনুমতি আগেই দেওয়া হয়েছে, সেগুলি হল:

১) সব রকম পণ্য পরিবহনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে তা সেটা অত্যাবশ্যকীয় হোক অথবা না হোক।
২) কৃষি কার্যের মধ্যে রয়েছে কৃষিজাত পণ্য আহরণ, তা বাজারজাত করা মান্ডি এবং সরাসরি ও বিকেন্দ্রীকরণ বাজারের মাধ্যমে, সার উৎপাদন এবং বন্টন, কীটনাশক এবং বীজ, মৎস্য চাষ, পশুপালন পোল্ট্রি এবং চা কফি ও রাবার প্লান্টেশনের কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

৩)গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল রাখতে কিছু শিল্পকর্ম গ্রামে চলবে যেমন খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প, রাস্তা নির্মাণ, সেচ প্রকল্প, গ্রামে শিল্প প্রকল্পের নির্মাণকার্য, এম এন আর ই জি এ প্রকল্পের কাজ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে সেচ ও জল সংরক্ষণে , গ্রামের কমন সার্ভিস সেন্টারের কাজ ইত্যাদির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর ফলে পরিযায়ী শ্রমিকসহ গ্রামীণ শ্রমিকরা কাজের সুযোগ পাবে।

৪) উৎপাদন ক্ষেত্র এবং অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠান যাদের অ্যাক্সেস কন্ট্রোল অনুমতি দেওয়া আছে এসইজেডএ, ইওইউ, শিল্পতলুক এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউনশিপ। সামাজিক দূরত্ব এবং স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রটোকলস বজায় রেখে তা করতে হবে। আইটি হার্ডওয়ার উৎপাদন এবং অত্যাবশ্যকীয় পণ্য এবং প্যাকেজিং কাজে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কয়লা খনি এবং তেল উৎপাদনের কাজে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে এইসব পদক্ষেপের ফলে শিল্প ও উৎপাদন ক্ষেত্র ঘুরে দাঁড়াবে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। তবে এক্ষেত্রে ও সামাজিক দূরত্ব এবং নিরাপত্তা প্রটোকল বজায় রাখতে হবে। একইসঙ্গে আর্থিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কাজ যেমন আর বি আই, ব্যাংক, এটিএম,সেবির নির্দেশমতো মূলধন ও ঋণের বাজার এবং বিমা কোম্পানিগুলি কাজ করবে। যাতে পর্যাপ্ত নগদ এবং ঋণের সহায়তা দেওয়া যায় শিল্প ক্ষেত্রকে।

৫) ডিজিটাল অর্থনীতি পরিষেবা ক্ষেত্রের জন্য জাতীয় বৃদ্ধির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । সেই অনুসারে ই-কমার্স অপারেশন, আইটি এবং আইটি এনাবল সার্ভিস, সরকারি কাজের জন্য ডেটা এবং কল সেন্টার এবং অনলাইন শিক্ষকতা ও দূরশিক্ষা সংক্রান্ত কাজকে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

৬) পরিবর্তিত এই গাইডলাইনে অনুমতি দেওয়া রয়েছে , সকল স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং সামাজিক ক্ষেত্রের কাজ চলবে, কোন বাধা ছাড়াই পাবলিক ইউটিলিটির কাজ হবে, কোন বাধা ছাড়াই অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহন হবে এবং কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ও স্থানীয় প্রশাসনের অফিস খোলা থাকবে।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *