রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের সাংবিধানিক সূচনার সেই মহান গৌরব ও অহংকারের দিনটি ছিলো ১৯৭১ সালের ২৭ এপ্রিল শনিবার। ৭১ এর ২৬শে মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষনার ফলে অখন্ড পাকিস্তানের কফিনে যে, শেষ পেরেকটি ঠোকা হয়েছিলো, ৭১ সালের ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রানুসারে ১৭ এপ্রিল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ গ্রহণের মাধ্যমে সেই কফিনটিকে আনুষ্ঠানিক ভাবে কবর দেয়া হয়েছিলো। দেশের অভ্যন্তরে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের শপথ অনুষ্টান ছিল যেমন সাংবাদিক বৈধ, তেমনি খল নায়ক জেনারেল টিক্কা খান ও সামরিক শাসকদের জন্য ছিল চরম আঘাত। শপথ অনুষ্টান টি ছিলো আমাদের সংবিধানের এবং সরকার গঠনের মূল ভিত্তি।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী জনপ্রতিনিধি যারা ৭১ এর ৩ জানুয়ারী ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে ১০ লক্ষাধিক লোকের মহা সমাবেশে শপথ গ্রহন করে ছিলেন, তারাই নবগঠিত মন্ত্রী সভার সদস্য হয়ে শপথ গ্রহন করেন। এটা শুধু শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান ছিলো না, পরাধীন পূর্ব বাংলাকে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও স্বাধীন করা। অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিশ্বে বাঙালিদের পক্ষে জনমত গঠন ও সমর্থন সুদৃঢ় হয়েছিল। মহান মুক্তিযুদ্ধের ধারাকে একটি সুশৃঙ্খল রূপ দিয়ে বাঙালির হাজার বছরের লালিত স্বপনের বিজয় নিশ্চিত করতে মুজিব নগর সরকারের অবদান অনস্বীকার্য। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সার্বিক ঘটনাবলী সমগ্র বিশ্ববাসীকে অবাক করে দিয়ে ছিলো। নিরস্ত্র প্রশিক্ষণ বিহীন শুধু নাগরিক ঐক্যের শক্তিতে ছোট একটি ভূখন্ডের সাধারন মানুষ মরণ পণ যুদ্ধ করে নিজেকে রক্তের সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে স্বাধীন হতে পারে এরকম অপরূপ দৃষ্টান্ত পৃথিবীতে সম্ভবত একমাত্র বাঙালীরাই স্থাপন করেছেন। এজন্য বিশ্বে বাঙালি বীরের জাতির খ্যাতি অর্জন করেন। মুজিব নগর সরকারের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য ছিল যে, তাঁরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ, ইচ্ছা ও নির্দেশনা থেকে বিন্দুমাত্র সরে দাঁড়াননি। এজন্য রণাঙ্গনে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধুর ধ্বনি-প্রতিধ্বনিত হয়েছিলো। বঙ্গবন্ধুর সকল নির্দেশনা তাঁরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে ছিলেন। (খন্দকার মোসতাক ছাড়া সবাই)
মুজিন নগর থেকে ভারতের পশ্চিম বঙ্গ, অর্থাৎ নদীয়া জেলার পলাশী আম্রকানন, যেখানে নবাব সিরাজউদ্দৌলা ক্লাইভ যুদ্ধ বা ইংরেজদের ভারত শাসনের সূচনা হয়েছিলো। বলা হয়ে থাকে সেখানেই স্বাধীনতার লাল সূর্য অস্তমিত হয়েছিলো। ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধ যে জায়গায় সংগঠিত হয়েছিলো সেখান থেকে স্বাধীন বাংলার বিপ্লবী বা মুজিব নগরে সরকার প্রতিষ্ঠার দূরত্ব ছিলো প্রায় বিশ মাইল। আবার চুয়াডাঙ্গা জেলার আমঝুপি কুঠিবাড়ীর দূরত্ব ছিলো বিশ মাইল। ১৭৫৭ সালে মীর জাফর ও লর্ড ক্লাইভের মধ্যে সর্বশেষ গোপন বৈঠক হয়েছিলো সেই আমঝুপি কুঠি বাড়িতে। মিলিয়ে দেখা যায় ত্রিভূজের মতো পলাশী-আমঝুপি-মুজিব নগর প্রায় সমান দূরত্ব অবস্থান করে পৃথিবীর ইতিহাসে এক অভিন্ন চরিএ ধারণ করে আছে। রাজনৈতিক কারণে আমঝুপিতে বৈদ্যনাথ তলার আমবাগান বা মুজিবনগর বাংলাদেশ আর পলাশী ভারতে। কিন্তু ভূমি বেষ্টনী বা ঐতিহাসিক স্থান একই। যেখানে স্বাধীনতার লাল সূর্য আস্তমিত হয়েছিলো। সেখানেই বাংলার স্বাধীনতার নতুন সূর্য উদিত হয়েছিলো। বাংলাদেশের পূর্ব উত্তর ও পশ্চিম সীমান্তে সেই পলাশী গা ঘেঁষে কেনই বা স্বাধীন বাংলাদেশের নবগঠিত বিপ্লবী সরকারের শপথ অনুষ্টান হয়েছিলো। কেনই ঐতিহাসিক দুটি ঘটনায় মীর জাফর ও খন্দকার মোশতাক ইতিহাসে বিশ্বাসঘাতক নামে কুখ্যাতি অর্জন করলেন সেটা নিয়তির ইচ্ছা নাকি ইতিহাসের প্রতিশোধ তা অজানাই রয়ে গেলো
৭১ এর ১০ মার্চ ভৌগলিক কারণে চুয়াডাঙ্গাকে বাংলাদেশের অস্থায়ী রাজধানী ঘোষনা করে ১৪ এপ্রিল সেখানে মন্ত্রি সভার শপথ গ্রহণ অনুষ্টানের কথা ছিলো। এ সংবাদ পাক বাহিনী জেনে ১৩ এপ্রিল প্রচন্ড গোলাবর্ষন করে সব কিছু তছনছ করে দেয়। তখন স্থান পরিবর্তন করে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথ তলার আমবাগান কে বেছে নেয়া হয়। সে সময় পাবনা জেলা প্রশাসক নুরুল কাদের খান মেহেরপুরের এসডিও তৌফিক এলাহি চৌধুরী এবং ঝিনাইদহের এসডিও মাহবুব উদ্দিন বিপ্লবী সরকারের মন্ত্রী পরিষদের সাথে যোগাযোগ করে স্থান বাছাই করেন। এ দিন অল্প সময়ের মধ্যে শতশত গ্রামবাসী ও দেশী-বিদেশী সাংবাদিক অনুষ্ঠান দেখতে এবং নিউজ কাভার করতে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ রনাঙ্গনের প্রধান উপদেষ্টা ডাঃ আহসানুল হকের ইঙ্গিতে স্থানটির নামকরণ করেছিলের মুজিব নগর। তখন থেকেই সেই আমবাগান ইতিহাসের একটি পরিচিতি স্থান ও নাম মুজিব নগর। ১৬ এপ্রিল গভীর রাতে তোফায়েল আহমেদ, সিরাজুল আলম খান, আব্দুর রাজ্জাক, শেখ মনি মুজিব বাহিনীর চার প্রধান কলকাতা থেকে রওনা দিয়ে রাতেই মুজিবনগরে পৌঁছান। শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানে “বীর বাঙ্গালী অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো” “আমার দেশ, তোমার দেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ ” আমার নেতা তোমার নেতা শেখ মুজিব শেখ মুজিব। শেখ মুজিব বলে সমবেত কন্ঠে শ্লোগানে সেখানকার এলাকা প্রকম্পিত করে তোলা হয়েছিল। পশ্চিম পাকিস্তানের মিয়ানওয়ালী কারাগারে বন্দি থাকলেও মুক্তিযুদ্ধে চলে বঙ্গবন্ধুর নামে। মুজিবনগর সরকার ভারতও দেশের ভেতরে হাজার হাজার যুবশক্তিকে অস্ত্র প্রশিক্ষণ, গেরিলা বাহিনী গঠন, স্বাধীন বাংলাদেশের বেতার প্রতিষ্ঠা করে মুক্তিযুদ্ধের সাফল্য প্রচার, বিভিন্ন রাষ্ট্রের সহায়তা ও সমর্থন আদায়, মুক্তাঞ্চল ঘুরে জাতিকে উৎসাহ প্রদান করেন। নিয়মিত বাহিনী গঠন, সমর যুদ্ধের ব্যবস্থা করে পাক সেনাদের আত্মসমর্পণে বাধ্য করতে সকল কৌশল অবলম্বন করেন। মুজিব নগরের অস্থায়ী সরকারের দক্ষ ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে বিশ্বের নামকরা অধিকাংশ সাংবাদিক ও সংবাদপত্র বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামকে ন্যায়ের সংগ্রাম বলে আখ্যায়িত করে ছিলেন।
মূলত বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের (১৯৭১) ঐতিহাসিক ভাষনের পর কার্যত পূর্ব বাংলার সকল ক্ষমতা তাঁর হাতে চলে যায়। পাকিস্তান রাষ্ট্রের যে তিনটি নির্বাহী বিভাগ ছিলো, সবকটি তখন শেখ মুজিব নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন। পাকিস্তান শাসক গোষ্ঠীর আদেশ নিষেধ পূর্ববাংলায় সব অকার্যকর হয়ে পড়েছিল। বাঙালি যারা পশ্চিম পাকিস্তানে ছিলেন তারাও ছুটে আসেন মুক্তিযুদ্ধের জন্য। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ব্যারেকে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। সেক্রেটারিয়েট, সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারী, পুলিশ বাহিনী, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্টান, বিচার বিভাগ, কোর্ট কাচারী, ব্যাংক -বীমা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের হুকুমে চলছিল। বিচক্ষণ বঙ্গবন্ধু ১৫ মার্চ পাকিস্তানের প্রসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান ঢাকায় আসলে তাকে অতিথি বলে সম্বোধন করায় ক্ষুব্ধ ইয়াহিয়া খান ২৬ মার্চ ভাষনে “শেখ মুজিবকে শাস্তি পেতেই হবে বলে ঘোষনা দেন। পূর্ব বাংলায় পাকিস্তানের পতাকা প্রকাশ্যে পুড়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তলোন,” পাকসার জমিন শাদবাদ, পাকিস্তানের জাতীয় সংগীতের পরিবর্তে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের সেই অমর গান “আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি, জাতীয় সংগীত গেয়ে বাজিয়ে পাকিস্তান সরকারের ভীত্ত কাঁপিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
একটু পিছনে যাওয়া যাক। সেই ১৯৪৯ সালের ২৩ জুনের কথা। যেদিন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠন করা হয়েছিলো। তরুন নেতা শেখ মুজিব জেলে বন্দি। বঙ্গবন্ধুর সাংগঠনিক দক্ষতা, সাহস এবং প্রতিবাদী মুখর চরিত্রের কারণে চতুর দিকে প্রশংসায় পঞ্চমুখ। মওলানা ভাসানী বঙ্গবন্ধুকে গঠিত কমিটির প্রথম সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব প্রদান করেন। এ পদ পেতে মরিয়া হয়েছিলো খন্দকার মোশতাক। পদ না পেয়ে ভাসানীর সাথে অনেক তর্ক বিতর্ক করেছিলো সে, যে কেনো জেলে থাকাবস্থায় বঙ্গবন্ধুকে পদটি দেওয়া হয়েছে। যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে খন্দকার মোশতাক যুক্তফ্রন্টের নমিনেশন লাভে ব্যর্থ হয়ে কুমিল্লার দাঊদ কান্দি নির্বাচনী এলাকার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আওয়ামীলীগের প্রার্থীর বিরোধিতা করায় আওয়ামীলীগ থেকে বহিস্কার হয়েছিল। ১৯৫৪-৬৪ সাল দীর্ঘ দশ বছর পর মোস্তাক বঙ্গবন্ধুর সাথে সাক্ষাত করে পুনরায় আওয়ামীলীগ এ ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করে। মোশতাকের কথা শুনে বঙ্গবন্ধু বললেন, দশ বছরে বুড়ি গঙ্গার পানি অনেক গড়িয়েছে।
সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, মনসুর আলী, কামরুজ্জামান পরিক্ষীত নেতা হয়ে দলে নিজেদের স্থান দখল করে নিয়েছেন। সিনিয়রিটিতে তোমাকে তাঁদের নিচে ছয় নম্বরে স্থান দিতে পারি। রাজি থাকলে ফিরে আসতে পারো। চালাক মোশতাক তাৎক্ষনিক ভাবে রাজি হয়েছিলো।
ইতিহাসের আরেক ঘটনা, ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে খন্দকার মোশতাক কালো ড্রেস ও কালো টুপি পড়ে এসেছিলো। পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি বঙ্গবন্ধু তাই সে (মোশতাক) বিপ্লবী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবে। কিন্তু ১০ এপ্রিলের নির্বাচিত জন প্রতিনিধিদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এতে মোশতাক রাগ করে সৌদিআরবে ওমরাহ হজ্জ্ব পালনে যেতে চেয়েছিল। উদ্দ্যেশ ছিলো ষড়যন্ত্র। ক্যাপটেন এম মনসুর আলী তার মনোভাব বুঝতে পেরে কৌশলে তাকে নিভূত করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পেয়েই মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে থাকে মোশতাক। মুজিব নগর সরকারের অজান্তে মার্কিন দূতাবাসেরর মাধ্যমে পাকিস্তানের যোগাযোগ স্থাপন করে। বঙ্গবন্ধুর মুক্তির অজুহাতে পূর্ববঙ্গকে নিয়ে পাকিস্তানের একটা কনফেডারেশন সৃষ্টি করা এবং এ সূযোগে স্বাধীনতা যুদ্ধ বন্ধ ঘোষনা করা। এসময় খন্দকার মোশতাকের নেতৃত্বে জাতীসংঘে লবি করার জন্য ডেলিগেমন যাওয়ার ও কথা ছিল। কিন্তু ভারতীয় গোয়েন্দা বিভাগ বিষয়টি আঁচ করতে পেরে মুজিবনগর সরকারকে হুশিয়ার করে দিয়েছিল। ফলে মোশতাক সহ কয়েক জনের ভারতীয় পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত এবং তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব মাহবুবুল আলম চাষীকে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল, পাকিস্তানের কারাগারে ৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে মুক্তির আগে জুলফিকার আলী ভূট্টোও একটি কনফাডেরেশনের প্রস্তাব করে ছিলেন বঙ্গবন্ধুর নিকট। মোশতাকের প্রস্তাবের সাথে ভূট্টোর প্রস্তাবের মিল থাকায় ঐতিহাসিক ভাবে ষড়যন্ত্রের প্রমাণ রয়েই গেলো। বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও ষড়যন্ত্রকারী মোশতাকের ষড়যন্ত্র থামেনি। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার এ ৫জনকে নির্মমভাবে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর সেই ৬ নম্বর উক্তির প্রতিশোধ নিয়ে বেঈমান বিশ্বাসঘাতক মোশতাক স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি হয়েছিলো। ইতিহাসের এমন নির্মম ঘটনা নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে। বুঝতে হবে। আওয়ামীলীগে এখন মোশতাকদের অনুসারীরা পদ পদবী নিয়ে বসে আছে। সূযোগ পেয়েই দংশন করবে। কয়লা ধুইলে যেমন ময়লা যায়না, দুধ কলা দিয়ে সাপ পোষলে দংশন থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে না। দলে এখন অনুপ্রবেশকারীরাই সাপের বিষ। আগে বাগে সবাই সাবধান। দয়া করে এদের সরিয়ে দিন। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সাংগঠনিক নির্দেশনার কোন বিকল্প নেই।
১৯৭১ থেকে ২০২০ পর্যন্ত স্বাধীনতার ৪৯ বছর অতিক্রম করছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় যাদের জন্ম হয়েছিল তারা অল্প দিন পর পাঁচ দশক বা ৫০ বছর অতিক্রম করবেন। কিন্তু একথা সত্য যে, সেই প্রজন্মের অধিকাংশ লোকই স্বাধীনতার সেই শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান স্থলটি দেখতে যাননি। ছোট বাংলাদেশের বিশাল
মুক্তিযুদ্ধের একটি বড় অধ্যায় মুজিব নগরে জড়িয়ে রয়েছে। তাই নতুন প্রজন্মসহ সকলকে জীবনে কমপক্ষে একবার হলেও ঐতিহাসিক এ স্থানটি দেখে আসার আমন্ত্রন জানাচ্ছি। পরিশেষে স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, ত্রিশ লাখ শহীদ আর তিন লাখ ইজ্জত হারানো মা বোনদের বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাচ্ছি ঐতিহাসিক ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবসে
লেখক-কলামিষ্ট ও সমাজ বিশ্লেষক
এ এইচ এম ফিরোজ আলী
This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.