সিলেটে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈন উদ্দিন করোনা ভাইরাসে মারা গেলেন। কিন্তু মৃত্যুন পিছনের ঘটনাগুলোর নেপথ্যের কাহিনী এখনো কেউ বের করতে পারেন নি। কিন্তু তা বের হবে কি ? না ? তা নিয়ে রয়েছে সন্দেহ। এ নিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় নানা কথা লেখা হচ্ছে। সহকর্মীরা সিনিময়র ডাক্তারদের ব্যর্থতা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের অসহযোগীতা’সহ নানান কিছু বলছেন।
তবে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় আড়ালেই থেকে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগ ডাঃ মঈন আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে এখনো উদঘাটন করতে পারেনি ডাঃ মঈন কিভাবে আক্রান্ত হলেন? কার মাধ্যমে তার শরীরে করোনা সংক্রমিত হয়? শুধু তাই নয়, ডা. মঈনের রোগীদের সনাক্ত ও করোনা আক্রান্তের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারেনি? শেষ মুহুর্তে তিনি কোথায় ও কাদেরকে চিকিৎসা দিয়ে সেবা দিয়েছিলেন? এমন প্রশ্নগুলো আড়ালেই থেকে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় ইবনে সিনা হাসপাতালের উপর করোনার সেই দায়ভার দিতে চান। তাছাড়া ওসমানীতে কয়েকজন রোগী দেখেছেন বলেও স্বীকার করেন। তাইলে কি ইবসে সিনা লকডাউন করে দেওয়া হবে? এমন প্রশ্নের উত্তর নেই কারো কাছে। অথচ তিনি ছিলেন সিলেটে প্রথম করোনা রোগে আক্রান্ত। এখন যাদের কাছ থেকে ডাঃ মঈন আক্রান্ত হয়েছিলেন, তারা কতজন মানুষকে ঐ রোগে আক্রান্ত করছে? এর হিসাব মেলাবে কে?
ডা. মঈন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান ডা. মঈন উদ্দিন। তিনি ছিলেন দেশের প্রথম চিকিৎসক। বুধবার রাতে গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতকে তাকে সমাহিত করা হয়। ডাঃ মঈন ওসমানী হাসপাতালের পাশপাশি তিনি নগরীর ইবনে সিনা হাসপাতালেও রোগী দেখতেন। সেখানকার চেম্বারেও তিনি প্রাইভেট প্র্যাকটিসও করতেন।
৫ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হিসেবে তিনি সনাক্ত হন। প্রথমদিকে প্রবাসী স্বজনদের মাধ্যমে ডা. মঈনের করোনা সংক্রমিত হতে পারে বলে ধারণা করেছিলেন স্বাস্থ্য অধিপ্তরের কর্মকর্তারা। তবে এখন তাদের দাবি, ডা. মইনের প্রবাসী কোনো স্বজন দেশে আসার কোনো তথ্য তারা পাননি।
রোগীর মাধ্যমেই মঈন সংক্রমিত হয়েছেন। ডা. মঈন আক্রান্ত হওয়ার পর তার পরিবার ও কর্মসস্থলের ১২ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়। তবে তাদের কারো শরীরেই করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। ফলে কার মাধ্যমে সংক্রমিত হলেন এই চিকিৎসক এ প্রশ্ন আরো জোরালো হয়।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, ডাঃ মঈন ইবনে সিনা হাসপাতালের কেবিনে ৪ থেকে ৫ জন রোগী দেখেছেন। সেখানে ব্যক্তিগত চেম্বার বন্ধ করতেন। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও কয়েকজন রোগী দেখেছেন। এর মধ্যে আইসিইউতে একজন রোগী দেখেছেন। ওসমানীর আইসিইউতেই সেই রোগী মারা যান। আমাদের সন্দেহ ছিলো এই রোগীর মাধ্যমে মঈন আক্রান্ত হতে পারেন। তাই এই রোগী মারা যাওয়ার আগে তার নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষা করানো হয়। কিন্তু তার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
তবে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলেন, সঠিক তদন্ত করে আক্রান্তস্থল বের না হলে, অনেক ক্ষতি হবে।
বার্তা বিভাগ প্রধান