ডেস্ক নিউজ : গয়না বলতে অনেকেই আমরা মেটাল বা বিভিন্ন রঙের পুঁতির মালা বুঝি। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে গয়নার প্যাটার্নে এসেছে বড় পরিবর্তন। শুধু মেটাল কিং বিডস দিয়েই নয়, এখন কাপড়, কড়ি, শামুকের তৈরি বিভিন্ন গয়না চলছে বেশ। আবার এর পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে হাতে আঁকা বিভিন্ন পেইন্টিং। সেটা যেমন হতে পারে কাঠ কিংবা মেটালের ওপর আঁকা, আবার হতে পারে কাপড়ের উপর আঁকাও।
হ্যান্ড পেইন্টিংয়ের গয়নাগুলোতে চলছে বিভিন্ন মোটিফ বা থিম। কোনোটায় কোনোটায় ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে বিখ্যাত ব্যক্তিদের অবয়ব। ফ্রিডা কাহলো, কবি নজরুল থেকে শুরু করে গ্রাম বাংলার নারীও রয়েছেন এই তালিকায়। আবার কোনোটায় ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে রিকশা চিত্র, বিভিন্ন নকশা, জ্যামিতিক ছবি।
বিবিয়ানা ফ্যাশন হাউজের স্বত্বাধিকারী লিপি খন্দকার জানান, ‘কাপড়ের উপর কড়ি, ঝিনুক, বোতাম, ডলার বসিয়ে হ্যান্ড পেইন্টের সঙ্গে বিভিন্ন গয়না তৈরি করা হচ্ছে।’ আর পোশাকের সঙ্গে কন্ট্রাস্ট বজায় রাখলে গয়নাগুলো মানিয়ে যাবে বেশ।
এছাড়াও কাপড়ের তৈরি গয়নার মধ্যে পাবেন গামছা কাপড় ও জামদানির মতো পাতলা কাপড়ের গয়না। এগুলোর কোনোটায় আবার বিডস, কড়ি বসানো। কোনও মালা আবার একেবারে ইয়োকের মতো। কোনোটায় মিলবে সুঁই-সুতার কাজ। এমনকি রয়েছে নকশীকাঁথার কাজও।
গয়না যেমনটাই হোক সেটা যেন আপনার সাজ এবং পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে যায়। আপনি চাইলে একটু বৈপরীত্য রাখতে পারেন। যেমন পোশাক যদি হয় উজ্জ্বল রঙের তাহলে ইয়োক জাতীয় মালা বেছে নিতে পারেন। এবং তার রং একটু হালকা হলেই মানাবে। আর পোশাকটা যদি হয় একটু হালকা রঙের তাহলে উজ্জ্বল রঙের গয়নাই ভালো দেখাবে।
বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজ যেমন আড়ং, অরণ্য, বিবিয়ানা, রঙ ছাড়াও বর্তমানে বিভিন্ন অনলাইন পেইজ রয়েছে। বিভিন্ন পোর্ট্রেট বা হাতে আঁকা থেকে শুরু করে ভিন্ন মোটিফের এই গয়নাগুলো আপনি সহজেই নিতে পারেন এসব পেজ থেকে। এ তালিকায় থাকছে সিক্স ইয়ার্ডস স্টোরি, অন্যঘর, বোকা বাক্স, ওয়াও ক্রাফটস, চিত্রলেখা। যেমন আয়নাঘরের সংগ্রহে মিলবে মেটালের সঙ্গে সুতো এবং কড়ির কাজ। আবার বোকা বাক্সে পেয়ে যাবেন কাঠের উপর আঁকা যামিনী রায়ের ছবিসহ বিভিন্ন পেনডেন্ট। সঙ্গে রয়েছে শুকিয়ে যাওয়া বিভিন্ন ফলের বীজ। আবার ওয়াও ক্রাফট যেমন বৈশাখের পরিচিত মুখোশ, পেঁচা, ময়ূর, পালকি, রিকশার চিত্র ফুটিয়ে তুলেছে কাঠের তৈরি পেনডেন্টের উপর।
কথা হয় আয়নাঘর অনলাইন পেইজের দুজন উদ্যোক্তা ফাহমিদা পান্না এবং কানিজ ফাতেমার সঙ্গে। তারা দুজনেই জানান, নতুন ধাচের এসব গয়নার চাহিদা বেশ ভালোই। এমনকি ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী নকশাও ফুটিয়ে তোলেন তারা। ফাহমিদা পান্না আরও জানান, কিশোরী থেকে শুরু করেসব বয়সী নারীরাও রয়েছেন তার ক্রেতার তালিকায়। এবং এবারে বৈশাখের কথা মাথায় রেখেই তারা বাঙালি থিমের বিভিন্ন নকশা, ছবিকে প্রাধান্য দিচ্ছেন।
এছাড়াও কাকতাড়ুয়া, গীতিকার টাইডাই এবং গামছা কাপড়ের তৈরি গয়না, পেনডেন্টেও থাকছে নতুনত্ব। হাতের বালা রয়েছে এই তালিকায়। বিভিন্ন রঙ্গিন সুতো দিয়ে বানানো হয়েছে এগুলো। আর রয়েছে আংটি। গোল এবং চারকোণা আকৃতির উপর ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন ছবি এবং নকশা।
২৫০ থেকে শুরু হাজারের মধ্যেই পেয়ে যাবেন এসব বাহারি গয়না। নতুন বছরটা এবার তাহলে উদযাপিত হোক ভিন্ন সাজেই।
বার্তা বিভাগ প্রধান