ডেস্ক নিউজ: উপ্পলে রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে সুরেশ রায়না ও অম্বতি রাইড়ুর ফিফটিতে ৩ উইকেটে ১৮২ রান করে চেন্নাই। কেন উইলিয়ামসন ও ইউসুফ পাঠানের ব্যাটিং ঝড়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ফেরে হায়দরাবাদ। শেষ ওভারে দারুণ খেলে উত্তেজনা বাড়ান রশিদ খান। কিন্তু পারেননি শেষ বলে প্রয়োজনীয় ৬ রান নিতে। ৬ উইকেটে ১৭৮ রান করে সাকিবের দল। টস জিতে ফিল্ডিং নিয়ে দারুণ শুরু করেছিল হায়দরাবাদ। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান শেন ওয়াটসনকে মাত্র ৯ রানে ফেরান ভুবনেশ্বর কুমার। দলের ৩২ রানে চেন্নাই হারায় ফাফ দু প্লেসির (১১) উইকেটও। রায়না ও রাইড়ু দলের এই কঠিন পরিস্থিতি সামলে নেন ১১২ রানের দারুণ এক জুটিতে। ৩৭ বলে ৯ চার ও ৪ ছয়ে ৭৯ রানে রাইড়ু রানআউট হন। শেষ দিকে রায়নাকে উপযুক্ত সঙ্গ দেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ১২ বলে ২৫ রানে অপরাজিত ছিলেন চেন্নাইয়ের অধিনায়ক। ৪৩ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ে অপরাজিত ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন রায়না। টানা দ্বিতীয় ম্যাচ উইকেট শূন্য থাকলেন সাকিব। ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়েছেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। অবশ্য ব্যাট হাতে খুব একটা আশাহত করেননি তিনি। দীপক চাহারের টানা তিন ওভারে হায়দরাবাদ ৩ উইকেট হারালে উইলিয়ামসনের সঙ্গে ৪৯ রানের জুটিতে স্বস্তি ফেরান সাকিব। গত ম্যাচের মতো এদিনও ২৪ রান করেছেন বাংলাদেশের শীর্ষ অলরাউন্ডার। ১৯ বলের ইনিংসে ছিল দুটি চার ও একটি ছয়। সাকিব ফেরার পর পাঠানের সঙ্গে উইলিয়ামসনের ৭৯ রানের জুটিতে হারানো আশা ফিরে পেতে থাকে হায়দরাবাদ। অবশ্য ১৮ ও ১৯তম ওভারে তাদের দুজনকে ফিরিয়ে বড় ধাক্কা দেয় চেন্নাই। ৫১ বলে ৫টি করে চার ও ছয় মেরে ৮৪ রান করে ডোয়াইন ব্রাভোর শিকার হন উইলিয়ামসন। ২৭ বলে ১টি চার ও ৪টি ছয় মেরে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা পাঠানকে বিদায় করেন শারদুল ঠাকুর। ১৯তম ওভারের শেষ বলে রশিদের ছক্কায় শেষ ওভারে ১৪ রান দরকার ছিল হায়দরাবাদের। আফগান তারকা দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে ২ ও ১ রান নেওয়ার পর ছয় ও চার মেরে ম্যাচে উত্তেজনা বাড়ান। কিন্তু শেষ বলে ব্রাভোর ইয়র্কার থেকে ১ রানের বেশি নিতে পারেননি রশিদ। মাত্র ৪ বলে ১ চার ও ২ ছয়ে ১৭ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। এই জয়ে ৫ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে উঠল চেন্নাই। সমান খেলে ৬ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে নেমে গেল প্রথম তিন রাউন্ড শেষে শীর্ষে থাকা হায়দরাবাদ।