ফেনীতে এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে ফেসবুক লাইভে দর্শকদের সামনে কুপিয়ে হত্যা করেছে। বুধবার দুপুরবেলার এই হত্যাকাণ্ডের পরপরই টুটুল নামে পঁয়ত্রিশোর্ধ ওই ব্যক্তিকে অবশ্য পুলিশ গ্রেফতার করেছে। কিন্তু এই প্রতিবেদন লেখার সময়েও হত্যাকাণ্ডের ভিডিওটি ফেসবুকের দেয়ালে দেয়ালে ঘুরছিল।
ফেনীর পুলিশ সুপার খোন্দকার নূরুন্নবী বলেন, তিনটার দিকে অভিযুক্ত টুটুলকে আটক করা হয়। ঘটনাস্থল ফেনী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বারাহীপুর পূর্ব বাড়ি। ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ড।
পুলিশ বলছে, আটক ব্যক্তিটিকে এখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মি. নূরুন্নবী বলেন, ঘটনার তাৎক্ষণিকতা এতো বেশি যে আমরা ভাবতেই পারিনা যে এমন কিছু ঘটতে পারে। এখানে পারিবারিক, মানসিক সবদিক খুঁটিয়ে দেখা হবে। নিহত গৃহবধূর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার ব্যাপারে বিস্তারিত এখনো কিছু জানা যায়নি।
তবে পুলিশ বলছে, তারা নিশ্চিত যে তাদের হাতে আটক ব্যক্তিটিই খুনটি করেছে, কারণ সে হত্যাকাণ্ডটি ফেসবুক লাইভে দর্শকদের সামনেই ঘটিয়েছে। বহু মানুষ এটি দেখেছে। ঘটনার ভিডিও প্রমাণ রয়ে গেছে। অভিযুক্ত হত্যাকারী অবশ্য হত্যাকাণ্ডের কিছু পরেই ভিডিওটি নিজের ফেসবুক ওয়াল থেকে সরিয়ে নেয়।
কিন্তু এখন অনেকেই ভিডিও শেয়ার করছে এবং উল্লেখ করছে, ডিলিট হবার আগেই ভিডিওটি তারা ডাউনলোড করে রেখেছিলেন।
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, গ্রেফতারকৃত টুটুল ঘরময় হেঁটে বেড়াচ্ছে। মাঝে মাঝে সে তার কৃতকর্মের সপক্ষে যুক্তি তুলে ধরছে। একপর্যায়ে ধারালো কিছু একটা নিয়ে কেউ একজনকে উপর্যুপরি আঘাত করে সে। কিছুক্ষণ পর একজন নারীর রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় মাটিতে।
কিছুক্ষণ পরে আরো একটি ভিডিওতে অবতীর্ণ হয় অভিযুক্ত টুটুল। সেখানে তার কোলে ছোট্ট একটি শিশুকে দেখা যায়। শিশুটিকে নিজের মেয়ে বলে উল্লেখ করে সে।
পুলিশ বলছে, শিশুটি এখন তার দাদীর হেফাজতে আছে। এ ঘটনায় ফেনী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বার্তা বিভাগ প্রধান