করোনার হটস্পট হিসাবে স্বীকৃত নারায়ণগঞ্জ থেকে পালানোর সময় পাঁচ শতাধিক নারী-পুরুষকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে ওই জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়। এরপর আটককৃতদের নিজ নিজ বাসায় পৌঁছে দেয় পুলিশ। তাদের বহনকৃত ৭টি পিকআপ ১টি ট্রাক ও ১টি বাল্কহেড জব্দ করা হয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় বাল্কহেড যোগে নদী পথে কিশোরগঞ্জ যাওয়ার পথে ফতুল্লা ধর্মগঞ্জ এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে ধাওয়া করে প্রায় ৭২ জন যাত্রীকে আটক করা হয়।
পরে যাত্রীরা যেখান থেকে এতে উঠেছিল সেখানে পৌঁছে দেয়া হয়েছে এবং ট্রলার ও বাল্কহেড আটক করা হয়েছে।
একই রাতে ফতুল্লার টাগারপার থেকে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়া যাত্রীবোঝাই তিনটি পিকআপ আটক করা হয়। এতে প্রায় দেড় শতাধিক যাত্রী ছিল।
ওসি আরও জানান, এ রাতেই মাউরাপট্টি থেকে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করা যাত্রীভর্তি চারটি পিকআপ আটক করা হয়েছে। এসব পিকআপে প্রায় দুই শতাধিক যাত্রী ছিল।
ওসি জানান, ফতুল্লার পঞ্চবটী থেকে কিশোরাগঞ্জ যাওয়ার পথে সাইনবোর্ড এলাকায় প্রায় ৬০ জন যাত্রীসহ একটি ট্রাক আটক করা হয়। সব যাত্রীকে যেখান থেকে উঠেছিল সেখানে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রতিটি গাড়িই থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
তবে আটককৃতরা জানান, কাজকর্ম না থাকায় তারা খাবারে সমস্যায় ছিল। তাছাড়া এখানে থাকাটা ঝুঁকি মনে করেই তারা নিজ গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল।
আটককৃতদের বেশির ভাগই রাজশাহী, দিনাজপুর, রংপুর ও কুস্টিয়া জেলার বাসিন্দা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) রাজধানী সংলগ্ন নারায়ণগঞ্জ জেলাকে করোনার হটস্পট হিসাবে ঘোষণা করেছে।
বর্তমানে দেশের অন্য যে কোনও জেলা থেকে নারায়ণগঞ্জে করোনা সংক্রমন বেশি। এ নিয়ে সেখানকার বাসিন্দারা ভয়াবহ আতঙ্কে ভুগছেন।
এ কারণে নারায়ণগঞ্জের শিল্পাঞ্চল ফতুল্লা থেকে রাতের আঁধারে নানা কৌশলে বিভিন্ন জেলায় পালিয়ে যাচ্ছে গার্মেন্টস কর্মীসহ বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা।
বার্তা বিভাগ প্রধান