কোভিড-১৯ পরীক্ষা করার জন্য সিলেট বিভাগের প্রতিটি উপজেলা থেকে সন্দেহভাজনদের নমুনা সংগ্রহ করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। বর্তমানে সিলেট বিভাগের প্রত্যেক উপজেলায় একজন করে নমুনা সংগ্রহকারী রয়েছেন। করোনা পরীক্ষার জন্য সিলেটসহ সারা দেশে রক্ত কিংবা শরীরের ঘাম নয় সংগ্রহ করা হয় গলার ভেতরের লালা ও নাকের ভেতর থেকে পিচ্ছিল পানি।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জিহ্বার লালা নয়, গলার ভেতর থেকে একটি চিকন কাটির সাহায্যেন লালা সংগ্রহ করা হয়। এবং নাকের গোড়ার কাছ থেকে তুলা দিয়ে লালা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। আর এই পরীক্ষাটির নাম হল ‘রিয়াল টাইম পিসিআর’ বা রিয়াল টাইম পলিমারেস চেইন রিঅ্যাকশন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার জন্য জিহ্বার অগ্রভাগের লালা, রক্ত কিংবা শরীরের ঘাম সংগ্রহ করা হয় না। কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জিহ্বার অগ্রভাগের লালা গরম থাকে। করোনা পরীক্ষার জন্য গলার ভেতর থেকে ঠাণ্ডা লালা সংগ্রহ করা হয়। এবং নাকের ভেতর থেকে তুলা দিয়ে লালা সংগ্রহ করা হয়। কারণ গরম লালায় করোনার অস্তিত্ব ধরা পড়ে না।
ডা. আনিস জানান, লালা ছাড়া শরীর থেকে আর কোন নমুনায় এই ভাইরাস ধরা পড়ে না। জ্বর বা কাশির জন্য সেসব চিকিৎসা দেয়া হয় সেটাই দেয়া হয়।
সিলেট বিভাগের চারটি জেলা থেকে সংগৃহিত নমুনা গত ৭ এপ্রিল থেকে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে স্থাপিত ল্যাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে। নমুনা সংগ্রহের জন্য বিভাগের প্রত্যেক জেলায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অধীনে ১০-১২ জন স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করছেন। নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরুর আগে তাদেরকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছিল। তাদেরকে নমুনা সংগ্রহে আরো দক্ষ করতে গতকাল সোমবার ফের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সিলেটের চারটি জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয়ে কানেক্টেড (সংযুক্ত) হন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এ সময় স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি, ওসমানী মেডিকেল কলেজের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র: সিলেটভিউ২৪ডটকম
বার্তা বিভাগ প্রধান