আব্দুল মালেক: সেন্টমার্টিন জিনজিরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পূর্বপাশে রাস্থায় পড়ে থাকা মৃত্যু মোঃ সলিমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন যুবক দাফনকাজে অংশে গ্রহণ করেন। সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান, ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান খাঁন, আবু বক্কার, নজরুল ইসলামসহ পুলিশ ও কোষ্টগার্ড কর্মকর্তার উপস্থিতিতে দুপুর ১২.২০ মিনিটে (১৪/০৪/২০২০ মঙ্গলবার) দফনকাজ শেষ হয়।
প্রশাসন সূত্রে – মৃত্যু সলিম করোনা আক্রান্তে নই স্বাভাবিক মৃত্যু হয় তার। আগামীকাল উপজেলা মেডিকেল টিম এসে মৃত সলিমের বাড়ির সদস্যদের পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে এমনটাই জানান প্রশাসন।
সেন্টমার্টিন পশ্চিমপাড়া এলাকার মোঃ সলিম(৪৮)সকাল ৮.৩০ মিনিটের দিকে রাস্তায় হাঁটার সময় হঠাৎ পড়ে যায়। রাস্তায় পড়ে থাকা সলিমের পাশে করোনা ভয়ে কেউ যাচ্ছেনা। ধারনা করা হচ্ছে তিনি করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে। দ্বীপের মানুষ আতংকে রয়েছে।
সলিম একজন জেলে। সেন্টমার্টিন পশ্চিমপাড়ার মোঃ হারুনুর রশিদের মালিকানাধীন ফিশিং বোটের মাঝী মৃত্যু মোঃ সলিম।
হারুন জানান, দীর্ঘবছর ধরে তার ফিশিং ট্রলারে মাছ ধরার কাজ করেন সলিম। সে মাঝেমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়লে মাছ ধরতেও যেতে পারে না। দীর্ঘদিন ধরে সে অসুস্থতায় ভুগছে।
এক তথ্যসুত্রে জানা যায়, সলিম একজন ড্রাগ এডিকটেড। প্রতিনিয়ত ইয়াবা সেবন করত সে।
এক জেলে বলেন, সলিম তিন বেলা ভাল খাওয়ার মতো করে গাঞ্জা খেত। সে গাঞ্জা না খেলে তার ভাত হজম হতোনা। অগণিত সিগারেটতো আছেই।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, মৃত্যু সলিম অনেক দিন ধরে অসুস্থ। প্রায় সময় ডাক্তার দেখাতে টেকনাফ যাওয়া হয়। কয়েকদিন আগে তার খাবার ঔষধ শেষ হয়ে যায় । স্থানীায়ভাবে ডাক্তার দেখাতে সেন্টমার্টিন পশ্চিমপাড়া নিজ বাড়ি থেকে সলিম সকাল ৮ টায় বের হয়। কিছুক্ষণ পর খবর পাওয়া যায় জিনজিরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পূর্বপাশে রাস্তায় পড়ে যায় সে। শক্ত ফ্লোরে পড়ে গিয়ে মাথায় গুরুতরভাবে আঘাত পেয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। সলিমের স্ত্রী, ১ মেয়ে, ১ ছেলে।
স্থানীয়ভাবে সলিমের মৃত্যুটি করোনা নয় বলে ধারণা হরা হচ্ছে । কারণ এ পর্যন্ত কক্সবাজার জেলায় একজনও করোনা আক্রান্ত হয়নি।
নির্বাহী সম্পাদক