বিশ্বনাথ প্রতিনিধি: করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় নারায়নগঞ্জে থেকে চাকরি ছেড়ে গত কয়েক দিনে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এসে অবস্থান নিয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি।
এতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। বিভিন্ন এলাকা থেকে মোবাইলের মাধ্যমে থানা পুলিশ ও স্থানীয় সাংবাদিকদেরকে নারায়নগঞ্জ থেকে ফেরত ব্যক্তিদের তথ্যও দিচ্ছেন এলাকাবাসী।
আর এলাকাবাসীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী (শনি-রোববার) এই দুই দিনে নারায়নগঞ্জ ফেরত ৯ ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
এরপর প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকে দেওয়া হয়েছে বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারাইন্টানে থাকার নির্দেশনা। এরমধ্যে শনিবার ৫ জনের ও রোববার ৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এদিকে ঢাকা-নারায়নগঞ্জ ফেরত ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ অব্যাহত থাকবে বলেও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ক’দিন ধরে প্রশাসনের নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে ঢাকা-নারায়নগঞ্জ ফেরত ব্যক্তিরা নিজেদের ইচ্ছে মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে চারিদিকে। ফেরত আসা এসব ব্যক্তিদের মধ্যে কেউ যদি করোনায় আক্রান্ত থাকে, তবে এর কুফল ভোগ করতে হবে তার পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি পুরো উপজেলাবাসীকে। তাই কেউ নিজের জীবন নিয়ে ঝুঁকি নিতে যান না। আর এজন্য যত দ্রুত সম্ভব হয় নারায়নগঞ্জ ফেরত এসব ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের নুমনা সংগ্রহ করা ও তা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে জোরদাবী এলাকাবাসীর।
দুই দিনে নারায়নগঞ্জ ফেরত ৯ ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করার সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আবদুর রহমান মুসা বলেন, পর্যায়ক্রমে ফেরত আসা সকলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।
এব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, সম্প্রতি ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ফেরত কিছু ব্যক্তি বিশ্বনাথে অবস্থান করছেন বলে আমরা জানতে পেরে তাদের ঠিকানা বের করে নমুনা সংহের কাজ শুরু করেছি। ইতিমধ্যে ৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকীদের নমুনাও সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া কারও নমুনা সংগ্রহ না করা হলে বা অবশিষ্ট থেকে গেলে সেই সকল ব্যক্তির তথ্য প্রশাসনকে দিয়ে সহযোগীতা করার জন্য সর্বমহলকে অবহিত করা হয়েছে।