কায়সার হামিদ মানিক,উখিয়া :কক্সবাজারের উখিয়ায় ২শ’ বেডের করোনা আইসোলেশন হাসপাতালের কাজের অগ্রগতি দেখার জন্য রবিবার সকালে সরেজমিন পরিদর্শন করেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরী।পরিদর্শন কালে স্থানীয় গ্রামবাসীদের সমস্যা সমাধান ও করোনাভাইরাস সম্পর্কে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।পাশাপাশি দ্রুত হাসপাতালের কাজ শেষ করার জন্য কতৃপক্ষকে নির্দেশ প্রধান করেন।উখিয়া ডিগ্রি কলেজের একটু দক্ষিণ পার্শ্বে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের সামান্য ভিতরে আইসোলেশন হাসপাতালটি নির্মিত হচ্ছে। নির্মাণ কাজ গত ৩০ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে হাসপাতালটির ৫৫% ভাগ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন বিবেচনায় দিবারাত্রি পুরোদমে হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক হাই কমিশন (ইউএনএইচসিআর) এর অর্থায়নে এই বৃহৎ আকারের করোনা আইসোলেশন হাসপাতালটি নির্মিত হচ্ছে। হাসপাতালটি নির্মাণের জন্য জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে অনুমোদন নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্র জানিয়েছেন।
নির্মাণাধীন আইসোলেশন হাসপাতালে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি রোহিঙ্গা শরনার্থীরাও চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন। অত্যাধুনিক সুবিধা সম্বলিত হাসপাতালটির সকল চিকিৎসক, নার্স সহ স্বাস্থ্য কর্মী, এ্যাম্বুলেন্স সহ মাসিক সকল ব্যয়ভার ইউএনএইচসিআর কর্তৃপক্ষ বহন করবেন। এ হাসপাতালে আপাতত শুধুমাত্র করোনা ভাইরাস রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে।
সুত্র মতে, চলতি এপ্রিল মাসের ২৯ তারিখের মধ্যে হাসপাতালটির অবকাঠামো নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে ৩০ এপ্রিল হাসপাতালটি চালু করার টার্গেট রাখা হয়েছে। তবে আরো দ্রুততম সময়ে নির্মাণকাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনের ঐকান্তিক আগ্রহ ও প্রচেষ্টায় ইউএনএইচসিআর এ করোনা আইসোলেশন হাসপাতালটি নির্মাণ করছে বলে বিশ্বস্ত সুত্র জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, এই আইসোলেশন হাসপাতালটি পুরোপুরি নির্মিত হলে এটি হবে কক্সবাজারের প্রথম পরিপূর্ণ একটি করোনা ভাইরাস আইসোলেন হাসপাতাল৷
নির্বাহী সম্পাদক