সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে মসজিদে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে গর্ভবতী নারীসহ দুই পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছে। উভয়পক্ষের সংঘর্ষে গুরুতর আহত ১২ জনকে তাহিরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গুরুতর আহতরা হলেন- দুলাল মিয়া (৩৮), আপন মিয়া (২৭), লিপন মিয়া (৩০), উজ্জ্বল মিয়া (১৮), আমছু মিয়া (৩৩), গর্ভবতী নারী নাদিরা বেগম (২৫), মোতালী (৫০), কবির মিয়া (৩১), সাদ্দাম হোসেন (২১), মোজ্জামেল (২৮), সুজন মিয়া (২২), কাজল মিয়া (৪৫)।
এর মধ্যে আপন মিয়া, গর্ভবতী নারী নাদিরা বেগম ও কবির মিয়ার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় এখানকার জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। অন্যান্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
স্হানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার জুমার নামাজ পড়ার জন্য উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের আমতৈল মধ্যপাড়া গ্রামের জামে মসজিদে নামাজ আদায় করতে যায় আমতৈল গ্রামের দুলাল মিয়ার পক্ষের উজ্জ্বল মিয়া (১৮) ও একই গ্রামের মোতালীর পক্ষের সুজন মিয়া (২২)। এসময় দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে নামাজের শেষে মসজিদে আসা লোকজন দুইজনকে মিলিত করে দিলে তারা যার যার বাড়ি চলে যায়। শুক্রবার বিকালে দুলাল মিয়ার পক্ষের মনির হোসেন পার্শ্ববর্তী একতা বাজারে যাওয়ার পথে আমতৈল গ্রামের মড়ল বাড়ির পুকুর পাড়ে মোতালী পক্ষের সাদ্দাম ও সুজন নামে দুইজন মনির হোসেনকে বেদড়ক মারপিট করে।
এরই জের ধরে শনিবার (১১ এপ্রিল) বিকালে দুই পক্ষের লোকজন আমতৈল গ্রামের পিছনে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এতে দুলাল মিয়ার পক্ষে, দুলাল মিয়া,আপন মিয়া, লিপন মিয়া, উজ্জ্বল মিয়া, আমছু মিয়া, গর্ভবতী নারী নাদিরা বেগম এবং মোতালীর পক্ষে মোতালী, কবির মিয়া, সাদ্দাম হোসেন, মোজ্জামেল, সুজন মিয়া, কাজল মিয়া আহত হন।
উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাসেম বিষয়টি নিশ্চিত করেন বলেন, মসজিদে দুই কিশোরের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি বাদাঘাট ফাঁড়ি পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ মাহমুদুল হাসানকে জানানো হয়েছে এবং তার সহযোগিতায় আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তাহিরপুর থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান জানান, সংঘর্ষের বিষয়ে থানায় কেউ এখনও অভিযোগ করেনি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্হা নেয়া হবে।
নির্বাহী সম্পাদক