Home » ক্ষমা চাইলেন রাস্তাঘাটে লোকজনকে পেটানো সেই কমিশনার

ক্ষমা চাইলেন রাস্তাঘাটে লোকজনকে পেটানো সেই কমিশনার

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে এবং লকডাউন কার্যকর করতে মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) সাধারণ মানুষকে লাঠি দিয়ে পিটানোর পর বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় ক্ষমা ও দুঃখ প্রকাশ করছেন টাঙ্গাইল পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমিনুর রহমান আমিন। ক্ষমা চেয়ে ফেসবুকে একটি ভিডিও আপলোড করেছেন তিনি। এতে তিনি বলেন, সারাবিশ্বে করোনা ভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করেছে আমরা সচেতন না হলে এই করোনাভাইরাস থেকে আমরা রক্ষা পাবো না। তাই গতকাল অতি আবেগের বসে সাধারণ মানুষকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ছিলাম এই জন্য সবার কাছে ক্ষমা চাইছি এবং দুঃখ প্রকাশ করছি।

মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মানুষের আনাগোনা তেমন একটা চোখে না পড়লেও শহরের নিরালার মোড়ে নিউমার্কেটে ওষুধের দোকানে মানুষ ভিড় করছিলেন ওষুধ কেনার জন্য। কিন্তু তারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছিলেন না। বেশির ভাগই ওষুধের বিক্রয় প্রতিনিধি এবং স্থানীয় লোকজন। হঠাৎ এ সময় লাঠি হাতে হাজির হন পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমিনুর রহমান আমিন, টাঙ্গাইল পৌরসভার প্যানেল মেয়র সাইফুজ্জামান সোহেল, টাঙ্গাইল চেম্বর অব কমার্সের সভাপতি খান আহমেদ শুভ, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন মানিক ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ রৌফ।

সাধারণ মানুষ কিছু বুঝে উঠার আগেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার অজুহাত দেখিয়ে লাঠি দিয়ে পেটাতে শুরু করেন সাধারণ মানুষকে। এরপর সেখান থেকে চলে যান পার্ক বাজার রোডে। সেখানেও কয়েকটি ফুটপাতের ব্যবসায়ী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে আসা কয়েকজনকে পেটানো হয়। এরপর নিরালার মোড় দিয়ে সাধারণ মানুষকে পেটাতে পেটাতে তারা চলে যান শহরের শান্তিকুঞ্জ মোড়ে। সেখানেও পেটানো হয় কয়েকজনকে। এরপর চলে যান ছয়আনি বাজারে। সেখানেও একই অবস্থা বাজার করতে আসা সাধারণ মানুষদের। তাদের উপরও চলে অমানবিকভাবে লাঠিপেটা। ফলে সাধারণ মানুষকে করোনার অজুহাতে মারপিটের ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়। আতংক ছড়িয়ে পড়ে পুরো শহরে। চলে সমালোচনার ঝড়। এরপর টনক নড়ে কাউন্সিলর আমিনুর রহমান আমিনের। পরে কাউন্সিলর আমিনুর রহমান আমিন এ ঘটনায় ক্ষমা এবং দুঃখ প্রকাশ করে নিজের ফেসবুকে একটি ভিডিও আপলোড করেন।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *