ঢাকা বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনের রাস্তার ধারে এক বৃদ্ধের সাথে ৬দিন ধরে খোলা আকাশের নিচে দিনরাত পার করছেন সংশোধন চলচ্চিত্রের নির্মাতা ও অভিনেতা রাসেল মিয়া।
ওই বৃদ্ধের পা ধুয়ে দেয়া থেকে শুরু করে ভেজা কাপড় দিয়ে শরীরও মুছে দিচ্ছেন তিনি। বাসা থেকে নিজ হাতে খাবার রান্না করে নিয়ে যাচ্ছেন পথেরধারে। বৃদ্ধকে খাইয়ে তারপর খাবার খাচ্ছেন তিনি । এভাবে খোলা আকাশের নীচে অবস্থান করায়, ভক্তরা করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা করছেন ।
বৃদ্ধকে সেবাযত্নের বেশকিছু ছবি সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায়। এ বিষয়ে ভক্তরা জানতে চাইলে ,রাসেল মিয়া যা জানালেন, তা শুনে সবাই আবেগে আপ্লুত হবেন।
অভিনেতা রাসেল মিয়া বলেন , উনি আমার আব্বা ! প্রায় ১২ বছর আগে হঠাতই উধাও হয়ে গিয়েছিল। ভেবেছিলাম, আব্বা হয়তো আমাদের মাঝে নেই। আমার আব্বা এখন রাস্তার পাগল (মানসিক ভারসাম্যহীন)।
ভাগ্যের কি নির্মম খেলা, ১২ বছর আগের আব্বা আজ পাগল হয়ে ফিরে এসেছে। তবুও তো আমার আব্বা। আমি তো ফেলে যেতে পারিনা। রাসেল মিয়া আরও বলেন, আব্বা আমার মাথার ছাতা। শুধু করোনা কেন, জীবন গেলে যাক, আমি আব্বাকে ছাড়া কোথাও যাচ্ছিনা । সম্পত্তির লোভে নিজের মানুষগুলো আব্বার সাথে চরম বেইমানি করেছে। আব্বাকে আগে সুস্থ করি, সময় হলে মুখ খুলব ইনশাআল্লাহ।
পরিবারসূত্র বলছে, ১২ বছর আগে হঠাতই গায়েব হয়ে যান সেকেন্দার আলী। অনেক খোঁজখবরের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তাঁর আশা ছেড়ে দেয় পরিবার। সবাই ভেবেছিল, ‘তিনি হয়তো আর বেঁচে নেই’। কিন্তু আশাহত ছিলেন না ছেলে রাসেল মিয়া। থানায় করেছিলেন জিডি।
অবশেষে ১২ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া জন্মদাতার দেখা পেল সংশোধন চলচ্চিত্রের নির্মাতা ও অভিনেতা রাসেল মিয়া। গত ৪ এপ্রিল রাজধানীর শাজাহানপুর থানা পুলিশ নিখোঁজ হওয়া সেকেন্দার আলীকে উদ্ধার করে অভিনেতা রাসেল মিয়ার জিম্মায় দিয়েছে বলে জানানো হয়।
বার্তা বিভাগ প্রধান