রংপুর জেলার সদর উপজেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় জনগণের মাঝে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিজের জীবন বাজি রেখে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। সকাল থেকে দিনভর সদর উপজেলার সবকয়টি ইউনিয়নে বেশ ক’টি মোড়ে জনসচেতনতা থেকে শুরু করে খাবার সামগ্রী দেওয়ার নেতৃত্ব দেন চৌকস ঐ চেয়ারম্যান নাসিমা জামান ববি। জীবনযুদ্ধে আপসহীন সাহসী সৈনিক অকুতোভয় যোদ্ধা রংপুর জেলা আওয়ামীলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নাসিমা জামান ববি। মাঠে-প্রান্তরে ছুটে চলা এক বীর। রাত দিন চলছে তো চলছেই। এ চলা সদর উপজেলার জনগণের কল্যাণে এক নিবেদিত যাত্রা। মৃত্যুর মিছিলে কাঁপছে পুরো বিশ্ব। ভয় আর আতঙ্ক নিয়ে চতুর্দিক ছুটোছুটি।
করোনাভাইরাস মোকাবেলায় জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়ানো এই ব্যক্তিটি আর কেউ নয়, তিনি জনতার ভোটে নির্বাচিত সেই নাসিমা জামান ববি। জনগণের উদ্দেশ্যে অনুরোধ প্রকাশ করে প্রতিটি মোড়ে মোড়ে ববি বলেন, আপনারা নিজে বাঁচুন। অন্যকে বাঁচাতে আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ১৯৭১ সালের যুদ্ধ ছিল ঘর থেকে হয়ে পাকিস্তানি হানদার বাহিনীকে পরাস্ত করা। ২০২০ সালের যুদ্ধটা হলো করোনা নামক সংক্রমণব্যাধি থেকে ঘরবন্দি হয়ে নিজেকে রক্ষা করা। আর এটা মুক্তিযুদ্ধের মতো জীবন বাজির কোনো ঘটনা নয়। সচেতনতাই এ ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র পথ। আসুন, সকলে মিলে এ প্রতিরোধযাত্রায় সুর তুলি, ঐক্যবদ্ধভাবে ঘরে বসে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করি। আমরা সচেতন হলে আল্লাহ আমাদের হেফাজত করবেন।
তিনি আরো বলেন, জীবন মানেই যুদ্ধ। যুদ্ধে টিকে থাকার চেয়ে কঠিন হলো মানসিক শক্তিতে নিজেকে বলীয়ান রাখা। আর সেই যুদ্ধের সাথে আমরা লড়াই করছি। আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করবেন। তবে আমাদের সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। প্রতিদিন সব কউটি ইউনিয়নে গণজমায়েত বন্ধ করতে পুলিশি টহল জোরদার করা হচ্ছে। আমি নিজেও খেয়ে না-খেয়ে কোনোমতো সময় পার করছি। তবু আমি দায়িত্বের সাথে কোনো রকম আপস করতে রাজি নই। রংপুর সদর উপজেলা কে একটি সুন্দর স্থান হিসেবে উপহার দেওয়াই আমার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে। তবে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে সকল স্তরের ব্যক্তিদের করোনা সংক্রমণ মোকাবেলায় সচেতনমহলের ভূমিকার কোনো বিকল্প নেই বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
নির্বাহী সম্পাদক