পঞ্চগড়ে করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় দুস্থ ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা সরকারি ত্রাণ সহায়তা না পেয়ে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। বুধবার সকালে পঞ্চগড় জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে সামাজিক দূরত্ব মেনেই তারা এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। মানববন্ধনে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার দুস্থ, শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা অংশ নেয়।
মানববন্ধনে দুস্থ মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম, বশির উদ্দিন ও সোলেমান আলীসহ শ্রমজীবী নিম্ন আয়ের মানুষেরা বক্তব্য রাখেন। এ সময় মানববন্ধনকারীর অভিযোগ করেন, করোনা পরিস্থিতিতে গত ১৪ দিন ধরে কর্মহীন হয়ে ঘরে অবস্থান করছেন তারা। দৈনিক মজুরি নির্ভর হওয়ায় ঘরে চাল ডালও ফুরিয়ে এসেছে। ঘর থেকে বের না হওয়ায় কাজ করারও সুযোগ পাচ্ছেন না তারা। ফলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অর্ধাহারে অনাহারে কাটছে তাদের দিন। ১৪ দিন পেরিয়ে গেলেও তাদের কাছে সরকারি বেসরকারি কোন সহায়তাই এখনো তাদের কাছে পৌঁছেনি। ত্রাণের জন্য প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের বার বার দৃষ্টি আকর্ষণ করেও ব্যর্থ হয়েছেন তারা।
ত্রাণ বিতরণে স্বজনপ্রীতিসহ অনিয়মের অভিযোগ তুলে তারা বলেন, সরকারিভাবে ত্রাণ বিতরণ করা হলেও মাঠ পর্যায়ে প্রকৃত নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে তা পৌঁছাচ্ছে না। তাই মুখে কালো কাপড় বেঁধে মানববন্ধনে নেমেছেন তারা। মানববন্ধনে একাত্মতা পোষণ করে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও পঞ্চগড় পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি কাজী আল তারিক, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আনিস প্রধান, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজালাল, পৌর যুবলীগের সভাপতি হাসনাত মো. হামিদুর রহমান, প্রাক্তন কলেজ শিক্ষক রফিকুল ইসলাম।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, এই পরিস্থিতিতে মানববন্ধন করা বেআইনী। দুস্থ ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা ত্রাণ পাচ্ছেন না এই কথা সঠিক নয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে সামাজিক দূরত্ব মেনে বাড়ি বাড়ি ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন। যারা পাচ্ছেন না তাদের আমাদের হটলাইন নাম্বারে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছি। এখন পর্যন্ত ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষের মাঝে ত্রাণ সহায়তা হিসেবে চাল, ডাল ও খাদ্য সামগ্রি বিতরণ করা হয়েছে।
নির্বাহী সম্পাদক