যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা নিউ ইয়র্কে। সেখানে একদিনে মৃত্যুর নতুন রেকর্ড হয়েছে। মঙ্গলবার নিউইয়র্কে এ ভাইরাসে আক্রান্ত ৮০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে কারাগারে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বন্দির মৃত্যুর ঘটনায় নিউইয়র্ক কর্তৃপক্ষ সমালোচনার মুখে পড়েছেন। সোমবার পর্যন্ত নিউইয়র্কের কারাগারে থাকা ২৮৬ বন্দি ও ৩৩১ কারা কর্মকর্তা ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মাইকেল টাইসন (৫৩) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
গভর্নর অ্যান্ড্রিউ কৌমো জানান, যুক্তরাষ্ট্রে করোনা মহামারির কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে নিউইয়র্ক।
নিউইয়র্কে টানা দুই দিন আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা নিম্নগামী হওয়ার পর মঙ্গলবার ফের সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড তৈরি হলো। তবে গভর্নর জানিয়েছেন, টানা তিন দিন গড় আক্রান্তের সংখ্যা কমছে।
জনগণকে ঘরে থাকা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে সতর্ক করে গভর্নর বলেন, আমাদের দৃঢ়ভাবে স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে। এর ওপরই নিজেদের বেঁচে থাকা নির্ভর করছে।
ধর্মীয় উৎসবে নিউইয়র্কবাসীকে বড় ধরনের জমায়েত এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে গভর্নর অ্যান্ড্রিউ কৌমো বলেন, ‘আপনাদের স্মার্ট হতে হবে। নিরাপদে থাকতে হবে। ঘরে থেকেই আমাদের এটা করতে হবে।’
এদিকে করোনাভাইরাসের ব্যাপক প্রাদুর্ভাবের ফলে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে মাস্কের ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে। এজন্য মাস্ক না পেলে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘কাপড়ের ঘনত্বের বিচারে স্কার্ফ মাস্কের ভালো বিকল্প।’
বস্তুত ট্রাম্প প্রশাসনের হাতে মাস্ক বা এ সংক্রান্ত সরঞ্জামের পর্যাপ্ত মজুত নেই। যা ছিল তাও প্রায় শেষ পর্যায়ে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, বিভিন্ন রাজ্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের জন্য বাজারে পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হতে বাধ্য হয়েছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্রে এ মহামারির কেন্দ্রস্থল নিউইয়র্কের মেয়র বিল ডে ব্লাসিওর ভাষায়, ‘আপনি এটা বলতে পারেন না যে প্রতিটি রাজ্য নিজেদের জন্য, প্রতিটি শহর নিজেদের জন্য। এটা আমেরিকার চিত্র হতে পারে না।’
সূত্র: সিএনএন।
বার্তা বিভাগ প্রধান