করোনাভাইরাস মোকাবিলায় জাপানে এক মাসের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে রাজধানী টোকিওসহ আরও ছয়টি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।.
যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি জানিয়েছে, জাপানে এখন পর্যন্ত করেনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজার ৯০৬। এর মধ্যে ৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর চিকিৎসা গ্রহণের পর সুস্থ হয়ে উঠেছে ৫৯২ জন।যুক্তরাষ্ট্র বা ইতালির মতো দেশগুলোর তুলনায় জাপানে করোনার প্রাদুর্ভাব তুলনামূলক কম। তবে আকস্মিকভাবে যেন এটি মহামারী আকারে ছড়িয়ে না পড়ে, তার সতর্কতা হিসেবেই জরুরি অবস্থা জারির সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। উৎপত্তিস্থল চীনে ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারিতে এ পর্যন্ত বিশ্বের ১৮৪টি দেশ ও অঞ্চল আক্রান্ত হয়েছে। বিভিন্ন দেশের সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ লাখ ৪৬ হাজার ২৯৯। এরমধ্যে ৭৪ হাজার ৬৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসা গ্রহণের পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন দুই লাখ ৭৬ হাজার ৬৩৬ জন।
এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মোট তিন লাখ ৬৭ হাজার ৫০৭ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার ৯২৩ জনের। তবে মৃতের হিসাবে শীর্ষে রয়েছে ইতালি। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ১৬ হাজার ৫২৩। আর আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৩২ হাজার ৫৪৭ জন।