প্রতিনিধি সাদিকুল আমিন শিপু : সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ আদর্শ গ্রামে অগ্নিকাণ্ডে কয়েকটি দোকান ও ঘর পুড়ে প্রায় ৭ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা প্রায় ১ ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
সোমবার ৬ এপ্রিল রাত ৭.৩০ মিনিটে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে মঙ্গল মিয়ার ৭ কক্ষ বিশিষ্ট একটি কলোনি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এবং কলোনির সামনে আরো পাঁচটি দোকানের অর্ধেক অংশ পুড়ে যায়। দোকানগুলোর মধ্যে ছিল, মুদি মাল, ফার্মেসি, কসমেটিক্স, ইলেকট্রনিক্স ও মোবাইল মেকানিকের দোকান।
উপস্থিত স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। কলোনির মালিক মঙ্গল মিয়া বলেন, আমার কলোনিতে ৭টি পরিবার বসবাস করত। আগুনে পুড়ে আমার পুরো কলোনি ছাই হয়ে গেছে এতে আমার প্রায় ৩ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। লতিব স্টোরের মালিক আব্দুল লতিব বলেন, আমার দোকানে প্রায় ১৫ থেকে ১৬ লক্ষ টাকার মালামাল ছিল।
আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগে আগেই স্থানীয়দের সহযোগিতায় দোকান থেকে মালামাল বের করতে সক্ষম হই। এবং মালামাল বের করতে গিয়ে আমার প্রায় দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রোশনা বেগম বলেন, এখানে আমার একটি ঘর ছিল ঘরের অর্ধেক অংশ পুড়ে যায় এতে আমার ১ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন আচার্য, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি সজল কুমার কানু ও সিলেট থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট উপস্থিত হয়।
সিলেট ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার এস এম হুমায়ুন কার্নায়ান বলেন, আমরা খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। সিলেট থেকে আসতে আমাদের ৪০ মিনিট সময় লেগেছে। আসার পর দেখি স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসছেন। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এই অগ্নি কান্ডের ঘটনা ঘটেছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি অফিসার সুমন আচার্য বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়। আমি তাৎক্ষণিক ভাবে সেখানে উপস্থিত হই। এবং ক্ষতিগ্রস্থদের সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করব।