উজিরপুরে হিন্দুদের উপর হামলা মাথা ফাটিয়ে মারাত্মক যখমসহ আহত ৯ জন| বরিশাল জেলার এসপির নির্দেশে হামলাকারীদের মামলায় ভুক্তভোগী ৩ জন আটক।
সোমবার ৩০/৩/২০ সকালে বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বড়াকোঠা ইউনিয়নের মালিকান্দা গ্রামে এঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, অনীল চন্দ্র বিশ্বাস (৬০) র বাড়িতে হামলা চালায় সন্ত্রাসী ১। জুয়েল মৃধা (৫৪), ২। টিপু মৃধা (৪০), ৩। পনির মৃধা (৩০)। প্রথমে তারা অনীল চন্দ্র বিশ্বাসের জায়গা দখল করে ১২/১৩ টি গাছ কেটে ফেলে সেই সময় স্থানীয় চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামকে ফোন দিলে তিনি বলেন, তোমাদের জায়গা, ঘর, গাছ আমি ঠেকাতে আসবো তোমাদের জিনিস তোমরা ঠেকাও।
উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তাকে ফোনে জানালে তিনি পুলিশ পাঠিয়ে ছিলেন কিন্তু পুলিশ এসে বাজারে ঘুরে চলে যায় ঘটনাস্থলে আসেনি।
অনীল বাবুদের বাড়ির মহিলারা যখন বলছে আপনারা আমাদের গাছ কাটছেন কেন যেহেতু সালিশ ডেকেছে সালিশ হোক তারপর তো কাটা যেত! ঘরবাড়ি ভাঙছেন কেন? ঠিক সেই মুহুর্তে জুয়েল মৃধার মামার বাড়ির লোকজন দেলোয়ার খান, আনোয়ার খান, ইয়ার হোসেন খান সহ ১০ / ১২ জনের একটি গ্রুপ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় মহিলাদের উপর লোহার সাবল এবং রড দিয়ে আঘাত করে।
এতে মারাত্নক জখম হয়ে আহত হন লিপি বিশ্বাস (২৬), আরোতী বিশ্বাস (৩৫) পলাশ বিশ্বাস (৩৫) এবং কবিতা বিশ্বাস (৩৬) আহত হয়। বাড়ির নারীদের রক্ষা করতে পাশের ঘরের বিশ্বজিৎ বিশ্বাস (২৮)এবং মৃন্ময় বিশ্বাস (১৬) এস এস সি পরীক্ষার্থী ঠেকাতে গেলে তাদের মাথা ফাটিয়ে মারাত্নক জখম করে এই অবস্থা জানতে পেরে অনীল চন্দ্র বিশ্বাস (৬০), সুনীল চন্দ্র বিশ্বাস ( ৪৮) ও পরিমল চন্দ্র বিশ্বাস তাদের রক্ষার জন্য এগিয়ে এলে তাদেরকেও মারাত্নক জখম করে!
উল্লেখ্য সুনীল চন্দ্র বিশ্বাস দুই কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়া এক অসুস্থ রুগী। এনারা পরে থানায় গেলে থানা মামলা নেয়নি বলে চিকিৎসা হন আগে এর মধ্যে উজিরপুর হাসপাতালে গেলে ঐ হাসপাতাল সামান্য চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল মেডিকেলে পাঠায় হাসপাতালের বারান্দায় একদিন থাকার পর গতকাল দুপুরে ঐ সন্ত্রাসীরা যেয়ে বলে এই নমো তোরা এখানে চিকিৎসা হতে আসছিস তার কিছুক্ষণ পর ডাক্তারা এসে উনাদের বের করে দেয়|
এদিকে থানায় মামলা না নিলে ওনারা বরিশাল এসপি অফিসে গিয়ে ঘটনা বলতে সেখানে ৩ জন কে গ্রফতার করা হয় আর এদিকে উজিরপুর থানা জুয়েল মৃধার দেওয়া মামলা গ্রহণ করে FIR হিসাবে নেয়।
নির্বাহী সম্পাদক