দেশে কভিডের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে ২৬ মার্চ থেকে দেশে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। সেই ছুটি সীমিত আকারে বাড়ানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকালে ৬৪ জেলার প্রশাসকদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে এ কথা বলেন তিনি।
এছাড়া সীমিত আকারে অফিস চালু হতে পারে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সতর্কতা নিয়েছি বলে তিন মাসেও কভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো জনগণের নিরাপত্তা।
কভিড মোকাবিলায় দিক নির্দেশনা দিতে জলা প্রশাসকদের(ডিসি) সাথে এই ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ছুটি দিয়েছিলাম, কিন্তু আরো কয়েকদিন ছুটি বাড়াতে হতে পারে। কারণ অনেকে গ্রামে চলে গেছেন, সেখানে আবার এই রোগের প্রার্দুভাব দেখা না দেয় কিনা, সেই সময়টা হিসেব করতে হবে। আমরা ১০/ ১২ দিনের ছুটি দিয়েছিলাম। এটা ১৪ দিন পর্যন্ত হতে পারে।
ছুটি বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থাও সীমিত আকারে চালু রাখার কথা বলেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থাটা চালু করার জন্য সেখানে আমরা চিন্তাভাবনা করেই করবো, কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমরা সেখানে ছাড় দেব।
সাধারণ মানুষের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজের সুরক্ষা নিজেকেই নিতে হবে, না বুঝলে নিজেরই ক্ষতি, এজন্যই নির্দেশনা মানা জরুরি। কভিডের লক্ষণ দেখা দিলেই পরীক্ষা করুন।
এবারের নববর্ষের অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, নববর্ষের অনুষ্ঠান আমরাই শুরু করেছিলাম। কিন্তু তাও আমাদের বন্ধ রাখতে হচ্ছে। মানুষের কল্যাণেই এ অনুষ্ঠান না করার অনুরোধ আপনাদের। সমাবেশ করে নববর্ষ উদযাপন নয়। ডিজিটাল পদ্ধতিতে নববর্ষ উদযাপন করুন।
ভিডিও কনফারেন্সে জেলা প্রশাসকরা তাদের নিজ নিজ জেলার প্রস্তুতির অবস্থা প্রধানমন্ত্রীকে জানান। তাদের কথার সূত্র ধরে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন পরামর্শ দেন।
ভিডিও করাফারেন্সে কভিড মোকাবিলায় সম্পৃক্ত বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-সচিবদেরওযুক্ত রাখা হয়। এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ সচিব ছাড়াও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা এই ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন।
দেশে কভিডের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে ২৬ মার্চ থেকে দেশে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। সেই সঙ্গে সড়ক, নৌ, আকাশ পথে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রেখে সবাইকে বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে।
এই অবরুদ্ধ অবস্থার মধ্যে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ যেন খাদ্য সঙ্কটে না পড়ে সে বিষয়ে ২৫ মার্চ রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণে নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বার্তা বিভাগ প্রধান