দিল্লির একটি মসজিদে অনুষ্ঠিত ধর্মীয় সমাবেশ থেকে ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়েছে কভিড সংক্রমণ। এতে মৃত্যু হয়েছে সাত জনের। এছাড়া ২৪ জনের কভিড সনাক্ত হয়েছে। এ ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে দিল্লি সরকার। মসজিদটি সিল করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ছয় জন তেলেঙ্গানার এবং একজনের বাড়ি শ্রীনগরে। আক্রান্তদের মধ্যে ৯ জন ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দা। এছাড়া তাদের মধ্যে এক ব্যক্তির স্ত্রীর দেহেও কভিড সংক্রমণের প্রমাণ মিলেছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গত ১ থেকে ১৫ মার্চের মধ্যে দিল্লির মার্কাস নিজামউদ্দিন মসজিদে অন্তত দুই হাজার মানুষের সমাগম হয়েছিল।শুধু ভারত নয়, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, কিরগিজিস্তান থেকেও মুসল্লিরা ওই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সেখান থেকেই ব্যাপকহারে কভিডের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই দিল্লির পশ্চিম নিজামুদ্দিনে তবলিগ-ই-জামাতের মসজিদ থেকে কমপক্ষে ৮৫০ জনকে অন্য একটি জায়গায় কোয়ারান্টাইন করে রাখা হয়। এছাড়া অন্তত ২শ জনের শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যেই ২৪ জনের শরীরে ওই সংক্রমণ হয়েছে বলে প্রমাণও মিলেছে। সংক্রমিতদের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করছে সরকার।
এভাবে কভিড সংক্রমণের ঘটনায় ওই মসজিদের মওলানার বিরুদ্ধে পুলিশকে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছে কেজরিওয়াল সরকার। যদিও মসজিদ কর্তৃপক্ষের দাবি, আগে দিল্লিতে এবং পরে গোটা দেশে লকডাউনের জেরে ওই অনুষ্ঠানের পরে গন্তব্যে ফিরতে পারেননি অতিথিরা। এজন্যই তারা মসজিদে ছিলেন।
কভিড সংক্রমণ এড়াতে যেখানে সব রকম সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বারবার অনুরোধ জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার, ঠিক সেই সময় ওই নিয়ম উপেক্ষা করে এই মাসের শুরুর দিকে ১০০ বছরেরও পুরোনো ওই মসজিদে একটি ধর্মীয় সমাবেশের আয়োজন করা হয়। ১৯২৬ সালে স্থাপিত ওই মসজিদে পৃথিবীর নানা দেশে থেকে মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষেরা ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
বার্তা বিভাগ প্রধান