Home » সৌদি আরবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

সৌদি আরবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

সৌদি আরবে অন্তত তিন দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর পাওয়া গেছে। রাজধানী রিয়াদ ও দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর জিজানে এসব হামলা চালানো হয়। শনিবারসৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে তাদের দাবি, রিয়াদ এসব হামলা প্রতিহত করতে সমর্থ হয়েছে।.

এখনও পর্যন্ত কোনও গোষ্ঠী এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। রিয়াদের পক্ষ থেকেও কাউকে দায়ী করা হয়নি। তবে সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে ইয়েমেনে যুদ্ধরত সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের বরাত দেওয়া হয়েছে। এ থেকে প্রতীয়মান হয়, ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী হুথি বিদ্রোহীরা এ হামলা চালিয়ে থাকতে পারে। ইতোপূর্বেও দফায় দফায় দেশটিতে হামলা চালিয়েছিল হুথি।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দারা একাধিক বিস্ফোরণের কথা নিশ্চিত করেছেন। বিস্ফোরণের পর উত্তরাঞ্চলীয় কয়েকটি জেলায় জরুরি সাইরেন দেওয়া হয়।

সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আল-ইখবারিয়া টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, রিয়াদে দুইটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের প্যাট্রিয়ট মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া জিজান শহরে তৃতীয় একটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হয়েছে।

ইয়েমেনে সৌদি আগ্রাসনের জবাব দিতে মাঝেমধ্যেই দেশটিকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে থাকে হুথি বিদ্রোহীরা। ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি আরামকোর দুটি বৃহৎ তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালানো হয়। এতে সৌদি আরবের তেল উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসে। হুথি বিদ্রোহীরা ওই হামলার দায় স্বীকার করে। যদিও ওই ইরানকে দায়ী করে ওয়াশিংটন ও রিয়াদ। ওই ঘটনার জেরে সৌদি ও আমিরাতে আরও  সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

২০১৫ সালে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে উচ্ছেদ করে রাজধানী সানা দখলে নেয় হুথি বিদ্রোহীরা। পালিয়ে রিয়াদে আশ্রয় নেন সৌদি সমর্থিত হাদি। ২০১৫ সালের মার্চে হুথি-র বিরুদ্ধে মিত্রদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ‘অপারেশন ডিসাইসিভ স্টর্ম’ নামে সামরিক অভিযান শুরু করে রিয়াদ। এ অভিযানে এখন পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। ঘরছাড়া হয়েছে কয়েক লাখ মানুষ। দুর্ভিক্ষের মুখে রয়েছে পুরো ইয়েমেন।

সূএ: বাংলা ট্রিবিউন

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *