করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় সামাজিক সঙ্গ নিরোধ এবং হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে আজ ২৬ মার্চ থেকে সিলেটে বিভিন্ন জাগায় টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী।সিলেটের সহ বিভিন্ন এলাকায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোর লক্ষ্যে সামাজিক দূরত্ব ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুবিধার্থে প্রশাসনকে সহায়তায় করছেন তারা।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে তারা জেলা ও বিভাগীয় করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাব্যবস্থা, সন্দেহজনক ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা পর্যালোচনা করবে।বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (মিডিয়া) মো. মেজবাহ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সিলেটে সেনাবাহিনীর টহল শুরু হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যতদিন প্রয়োজন সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে।বন্দর, জিন্দাবাজার, আম্বরখানাসহ সিলেট এর বাহিরে গোলাপগঞ্জ,বিশ্বনাথ ,জগন্নাথপুর, সহ বিভিন্ন জায়গায় সেনাবাহিনীকে টহল দিতে ও বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মানুষকে ঘর থেকে বের না হতে পরামর্শ দিতে দেখা যায়।
এর আগে বুধবার রাতে সিলেটের জেলা প্রশাসক (সিলেট ডিসি) ফেসবুক একাউন্ট থেকে এক পোস্টে বলা হয়, ’আগামীকাল (শুক্রবার) থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত জরুরী প্রয়োজন ব্যতিত কেউ ঘরের বাইরে বের হবেন না। সকাল থেকে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে।গত সোমবার সচিবালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের সমন্বয়ে সেনাবাহিনী সদস্যরা জেলা ও বিভাগীয় করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাব্যবস্থা, সন্দেহজনক ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা পর্যালোচনা করবে।
সেনাবাহিনী বিশেষ করে বিদেশফেরত ব্যক্তিদের কেউ নির্ধারিত কোয়ারেন্টিনে বাধ্যতামূলক সময় পালনে ত্রুটি বা অবহেলা করছে কি না, তা পর্যালোচনা করবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটরা এ জন্য স্থানীয় সেনা কমান্ডারের কাছে সেনাবাহিনী কর্তৃক অবস্থা পর্যালোচনার জন্য আইন অনুসারে অনুরোধ জানাবেন।