জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য নেওয়া ব্যবস্থার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিভিন্ন অঞ্চলে যারা খাদ্যপণ্যের অসুবিধায় পড়বেন তাদের গ্রামে খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে অনেক মানুষ কাজ হারিয়েছেন। আমাদের তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। নিম্নআয়ের ব্যক্তিদের ‘ঘরে-ফেরা’ কর্মসূচির আওতায় নিজ নিজ গ্রামে সহায়তা প্রদান করা হবে। গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য বিনামূল্যে ঘর, ৬ মাসের খাদ্য এবং নগদ অর্থ প্রদান করা হবে।
জেলা প্রশাসনকে এ ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, ভাষানচরে ১ লাখ মানুষের থাকার ও কর্মসংস্থান উপযোগী আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে কেউ যেতে চাইলে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, বিনামূল্যে ভিজিডি, ভিজিএফ এবং ১০ টাকা কেজি দরে চাল সরবরাহ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। একইভাবে বিনামূল্যে ওষুধ ও চিকিৎসা সেবা ও দেওয়া হচ্ছে।এ সময় নিম্নআয়ের মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ভাষণে মোবাইলে ব্যাংকিংয়ে আর্থিক লেনদেনের সীমা বাড়ানো হয়েছে বলে জানান শেখ হাসিনা। তিনি এও বলেন, বিদ্যুৎ, পানি এবং গ্যাস বিল পরিশোধের সময়সীমা সারচার্জ বা জরিমানা ছাড়া জুন মাস পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এনজিওগুলোর ঋণের কিস্তি পরিশোধ সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে।
নিজের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী দেশের নাগরিকদের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের উপদেশ মেনে চলার আহ্বান জানান। প্রবাসীদের ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতেও অনুরোধ করেন শেখ হাসিনা।