Home » এই ৮ সমস্যার একটি থাকলে করোনা আক্রান্তের ঝুঁকি বেশি

এই ৮ সমস্যার একটি থাকলে করোনা আক্রান্তের ঝুঁকি বেশি

অনলাইন ডেস্ক

: বিশ্বের অন্তত ১৬৫টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। এখন পর্যন্ত এতে মারা গেছেন ৭ হাজার ৯৬৫ জন, আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ১ লাখ ৯৮ হাজার ১২৯ জন।

এদিকে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মৌসুমি ফ্লুর চেয়ে করোনাভাইরাস ১০ গুণ বেশি মারণঘাতী। আর আগে থেকেই যাদের শরীরে কিছু সমস্যা রয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে তাদের ঝুঁকি বেশি।
বিশেষজ্ঞরা নিচের ৮টির মধ্যে কোনো সমস্যা নিজের সঙ্গে মিলে গেলে বাড়তি সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। সেগুলো হলো-

১. ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিসে আক্রান্ত যারা অন্যদের তুলনায় তাদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। যুক্তরাজ্যের ডায়াবেটিস চিকিৎসক ডন হওয়ার্থ বলেন, করোনায় ডায়াবেটিসে ভুগতে থাকা ব্যক্তিদের জন্য বিপজ্জনক।

তিনি আরও বলেন, যদি কারো ডায়াবেটিস থাকে এবং কাশি হয়, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, শ্বাসকষ্ট হয়; তাহলে ব্লাড সুগার মাঝেমাঝেই পরীক্ষা করে দেখা দরকার।

২. হার্টের সমস্যা: করোনা আক্রান্ত হলে ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের তালিকায় দুই নম্বরে রয়েছে হার্টের রোগীরা। কারণ, হার্টের সমস্যায় ভুগতে থাকা রোগীদের ইমিউন সিস্টেম এমনিতেই দুর্বল হয়ে থাকে। ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তাদের শরীর শক্তিশালীভাবে তা প্রতিরোধ করতে পারে না।

৩. অ্যাজমা: ফুসফুসের বাইরে ও ভেতরে বাতাস যাতায়াতে সাহায্য করে আস্ট্রা। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যেহেতু অ্যাজমা রোগীরা এমনিতেই এই সমস্যার মধ্য দিয়ে যায়, করোনাভাইরাস তাদের ঝামেলা আরও বাড়িয়ে দেয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে অ্যাজমা রোগীদের ইনহেলার ব্যবহার করা উচিত। সচেতন না হলে প্রাণহানি ঘটতে পারে।

৪. ফুসফুসে সমস্যা কিংবা যক্ষ্মা হলে: ফুসফুসে সমস্যা থাকলে কিংবা যক্ষ্মা হলে করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করা অনেক বেশি কঠিন হয়ে যায়।

৫. ক্যান্সার: ক্যান্সারের রোগীরা করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে। আর আক্রান্ত হলে সেরে ওঠা অনেক বেশি কঠিন। তাদের দুর্বল ইমিউন সিস্টেমকে সহজে কাবু করার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইবে না করোনাভাইরাস।

৬. পাকস্থলীর সমস্যা: যাদের হজমে সমস্যা আছে এবং পাকস্থলী নিয়ে চরম বিপাকে রয়েছেন, করোনাভাইরাস তাদের কাছে যমদূতের মতো।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা এ ধরনের সমস্যায় ভুগছেন, এ সময় তাদের বাড়তি সচেতন থাকা দরকার। করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার মতো ইমিউন সিস্টেম এ ধরনের সমস্যায় ভুগতে থাকা ব্যক্তিদের নেই।

৭. দুর্বল ইমিউন সিস্টেম: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলার মতো কোনো ভ্যাকসিন এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি। একে প্রতিরোধ করার একমাত্র উপায় ইমিউন সিস্টেম। এজন্য প্যারাসিটামল না খাওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তারা।

তবে যাদের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল, তারা ঝুঁকিতে রয়েছেন।

৮. ধূমপান: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্যদের তুলনায় ধূমপায়ীরা করোনাভাইরাসে আক্রান্তের ঝুঁকি ১৪ গুণ বেশি। সে কারণে এই দুঃসময়ে ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *