বাবার ৯০তম জন্মদিনে কবিতা লিখেছিলেন ছোট কন্যা শেখ রেহানা। ২০১০ সালের ১৭ মার্চ তিনি রচনা করেছিলেন ‘বাবা’। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে সেই কবিতাটি আবৃত্তি করলেন বড় কন্যা শেখ হাসিনা। গতকাল মঙ্গলবার জন্মশতবর্ষের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে আবৃত্তি শোনে সবাই।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সেই দিনটিতে জাতির পিতাকে হারানোর বেদনাই ফুটে উঠেছে এ কবিতায়। পিতার জন্মদিনের আয়োজনে তাঁকে হারানোর সেই স্মৃতি আবারো বিদীর্ণ করল মানুষের হৃদয়। পিতা হারানোর সেই স্মৃতি তুলে আনলেন বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে।
‘জন্মদিনে প্রতিবার একটি ফুল দিয়ে/ শুভেচ্ছা জানানো ছিল/ আমার সবচেয়ে আনন্দ’- এভাবেই কবিতার শুরু। আকাশের তারায়, সাগরের গর্জনে, পাহাড়ের চূড়ায় কিংবা ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘে পিতাকে খুঁজে পাওয়ার হাহাকার বিরাজিত গোটা কবিতায়।
বাবাকে নিয়ে লেখা মেয়ের কবিতাটি হুবহু দেওয়া হলো-
বাবা
শেখ রেহানা
জন্মদিনে প্রতিবার একটি ফুল দিয়ে
শুভেচ্ছা জানানো ছিল
আমার সবচেয়ে আনন্দ।
আর কখনো পাবো না এই সুখ
আর কখনো বলতে পারবো না
শুভ জন্মদিন।
কেন এমন হলো?
কে দেবে আমার প্রশ্নের উত্তর
কোথায় পাবো তোমায়…
যদি সন্ধ্যাতারাদের মাঝে থাকো
আকাশের দিকে তাকিয়ে বলবো
শুভ জন্মদিন।
তুমি কি মিটি মিটি জ্বলবে?
যদি বিশাল সমুদ্রের সামনে
ঢেউদের খেলার মাঝে থাকো বলবো
শুভ জন্মদিন।
সমুদ্রের গর্জনে শুনবো কি
তোমার বজ্রকণ্ঠ?
পাহাড়ের চূড়ায় যেখানে মেঘ
নীল আকাশে লুকোচুরি খেলে
তুমি কি ওখানে?
তাকিয়ে বলবো
শুভ জন্মদিন।
এক টুকরো সাদা মেঘ ভেসে যাবে
ওখানে কি তুমি?
আকাশে বাতাসে পাহাড়ে উপত্যকায়
তোমাকে খুঁজবো, ডাকবো
যে প্রতিধ্বনি হবে
ওখানে কি তুমি?
শুভ জন্মদিন।
প্রতিনিধি