শুদ্ধবার্তাটোয়েন্টিফোরডটকম: আগামী ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় করেছে সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় চেম্বারের কনফারেন্স হলে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সিলেট চেম্বারের সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদ।
সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি প্রতিবছর জাতীয় বাজেটে প্রস্তাবনা প্রেরণ করে থাকে। এসব প্রস্তাবনায় সিলেটের প্রেক্ষাপট এবং এ অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনা করে প্রস্তাব বা সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আগামী ১২ মে সিলেটে বিভাগীয় পর্যায়ের একটি প্রাক-বাজেট আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। ওই সভায় আলোচনার জন্য ব্যবসায়ীদের যেসব দাবিদাওয়া রয়েছে তা লিখিতভাবে চেম্বার কার্যালয়ে জমা দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা করমুক্ত আয়ের সীমা ২ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার করা, করদাতার নীট সম্পদ ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত সারচার্জ মওকুফ এবং ৫ কোটি টাকার অধিকে হলে ৫% সারচার্জ আরোপ করা, আয়কর রিটার্ন দাখিল ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তি করে করদাতাকে ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রদান করা, কৃষি যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের অর্জিত লভ্যাংশের উপর বিদ্যমান কর হ্রাস করে ১০% নির্ধারণ করা, ব্যাংক ঋণ ও সুবিধাদি সহজে পাওয়ার লক্ষ্যে কৃষি যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সমূহকে কৃষিভিত্তিক শিল্প হিসেবে গণ্য করা, ভোগ্যপণ্য পরিবেশকদের উপর ভ্যাট আরোপ না করে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে উৎসে কর আদায় করা, কয়লা আমদানীকারকগণ অগ্রিম ভ্যাট জমা দিয়ে কয়লা আমদানী করেন বিধায় কয়লা বিক্রয়ের উপর ৪% অগ্রিম ভ্যাট বা এটিভি প্রদানের বিধান বাতিল করাসহ বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন। এছাড়াও যেসব সার্জিক্যাল আইটেম ও মেডিক্যাল ইকুইপমেন্টের উপর ভ্যাট গ্রহণের বিধান নেই, সেসকল পণ্যের উপর ভ্যাট আরোপ না করা এবং ভ্যাট ট্যাক্স এর আওতা বৃদ্ধি করার অনুরোধ জানান ব্যবসায়ীরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট চেম্বারের পরিচালক পিন্টু চক্রবর্তী, মুশফিক জায়গীরদার, মুকির হোসেন চৌধুরী, আলহাজ্ব মো. আতিক হোসেন, প্রাক্তন পরিচালক মো. বশিরুল হক, ব্যবসায়ী নুর মো. আদনান, মো. মঞ্জুর আল বাছেত, এম শহিদুল ইসলাম, শেখ মো. আজাদ, ভানু চন্দ্র পাল, কামরুল ইসলাম কামরুল প্রমুখ।