Home » বুকে-পিঠে ‘অশ্লীল’ শব্দ নিয়ে তোলপাড়

বুকে-পিঠে ‘অশ্লীল’ শব্দ নিয়ে তোলপাড়

বসন্ত উৎসবে কয়েকজন তরুণী হলুদ শাড়ি পরে পিঠে লিখেছেন অশ্লীল শব্দ। একইভাবে বুকে অশ্লীল শব্দ লিখেছেন কয়েকজন তরুণ। গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বসন্ত উৎসবে অংশ নেন ওই তরুণ-তরুণীরা।

তরুণ-তরুণীদের সেই ছবি ও ভিডিও প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় সমালোচনা।

ভাইরাল হওয়া ওই ছবিতে দেখা যায়, কয়েকজন তরুণ-তরুণীর পিঠে, বুকে অশ্লীল শব্দ-বাক্য। ভিডিওতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জনপ্রিয় রোদ্দুর রায়ের অনুকরণে রবীন্দ্রসংগীত বিকৃত করে তালে তালে নাচতে-গাইতে দেখা গেছে তাদের অনেককে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার’র প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইতিমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে ওই ঘটনায় যুক্ত পাঁচ ছাত্রছাত্রীকে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ওই ছাত্রছাত্রীরা সবাই হুগলি জেলার শ্রীরামপুর কলেজের।

ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন জানায়, রবীন্দ্রভারতীর বসন্ত উৎসব যথেষ্ট বিখ্যাত। প্রায় মাসখানেক আগে থেকেই শুরু হয়ে প্রবেশপত্র বিতরণের কাজ। কারণ ওই এক দিনই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢুকতে দেওয়া হয় বহিরাগতদের। তাই বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা বসন্ত উৎসবে যোগ হন। গতকালও ওই নিয়মের অন্যথা হয়নি। তবে ঐতিহ্যমণ্ডিত অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করেই উঠেছে বিতর্কের ঝড়।

ঘটনাটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়টির এক ছাত্রী বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুরেই ঘটনাটি আমাদের নজরে আসে। তার পরেই আমরা উপাচার্যের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানাই। তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়টির এক ছাত্র বলেন, ‘বাইরের কিছু ছাত্রছাত্রীর জন্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নাম হচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

রবীন্দ্রভারতীর এই দোল-কাণ্ডের নিন্দা করে সাহিত্যিক তিলোত্তমা মজুমজার বলন, ‘এ বসন্ত ঋতু নয়। বরং এ দৃশ্য অসুখের। রাবন্ধিক-গবেষক নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ীর ভাষ্যমতে, ‘এটা সাংস্কৃতিক বিকার। এ কোনো সংস্কৃতির অঙ্গই নয়, বরং অপসংস্কৃতি বলাই ভালো।’

বসন্ত উৎসবের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে বহিরাগতদের ঘাড়েই দায় চাপিয়েছেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরি। তার দাবি, পিঠে-বুকে অশ্লীল গালিগালাজ লিখেছে যারা, তারা কেউই ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী নয়। তারা হুগলি, চন্দননগর, চুঁচুড়ার বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থী। তাদের বিরুদ্ধে সিঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ওই ছবিগুলো আদৌ সুপার ইম্পোজ করে তৈরি করা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা যাচ্ছে।

 

সূত্র: আমাদেরসময়

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *