সুনামগঞ্জের দুর্গম হাওরাঞ্চলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করতে যাচ্ছে সরকার। এজন্য ‘সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২০’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘এটা প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ। কনসেপ্টটা ওনার কাছ থেকে এসেছে যে, এটা খুব রিমোট এরিয়া। রিমোট এরিয়াতেও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থাকা দরকার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় (মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ) সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইনটি নিয়ে এসেছে। এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভা বৈঠকে খসড়া আইনটি নীতিগতভাবে অনুমোদন দেয়া হয়।
খসড়া আইনে ৫৫টি ধারা রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, প্রবর্তন ও সংজ্ঞা ছাড়াও উল্লেখযোগ্য ধারাগুলোর মধ্যে ৯ ধারায় চ্যান্সেলর, ১০ থেকে ১১ ধারায় ভাইস চ্যান্সেলর, ১২ ধারায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, ১৩ ধারায় কোষাধ্যক্ষ, ১৮ থেকে ২০ ধারায় সিন্ডিকেট, ২১ থেকে ২২ ধারায় একাডেমিক কাউন্সিল, ২৯ থেকে ৩০ ধারায় অর্থ কমিটি সম্পর্কিত বিষয় রয়েছে।’
এই আইনের আলোকে ২১টি অনুচ্ছেদ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সংবিধির খসড়া আইনের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে বলেও জানান খন্দকার আনোয়ার।
বর্তমানে ৪২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এর মধ্যে সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় ১৭টি, ৬টি কৃষি ও ভেটেনারি, ১৯টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যালয়। এছাড়া আরও চারটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। বর্তমানে দেশের ৩২টি জেলায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নেই বলেও জানান খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১০৫টি বলেও জানান তিনি।
প্রতিনিধি