ডেস্ক নিউজ : রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি শূন্যরেখা থেকে ৫ রোহিঙ্গার মিয়ানমারে ফেরত যাওয়া কোনোভাবেই প্রত্যাবাসন নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা ব্লুম বার্নিকাট।
প্রসঙ্গত, গেল শনিবার তমব্রু সীমান্তের জিরো পয়েন্ট দিয়ে স্বেচ্ছায় মিয়ানমার যান পাঁচ রোহিঙ্গা সদস্য। এদের মধ্যে তিন নারী, একজন পুরুষ ও একটি শিশু রয়েছে। মিয়ানমার সীমান্তে পা রাখার পর দেশটির কর্মকর্তারা তাদের স্বাগত জানিয়ে নিয়ে যান। তবে নোম্যান্স ল্যান্ড থেকে ফিরিয়ে নেয়া রোহিঙ্গাদের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার কিংবা বিজিবিকে কিছুই জানায়নি মিয়ানমার।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়ায় কুতুপালং এ রোহিঙ্গাদের ট্রানজিট ক্যাম্প পরিদর্শন করে এ কথা বলেন বার্নিকাট।
এসময় তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে আছে। যুক্তরাষ্ট্র চায় দ্রুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত নেয়া হোক। এর আগে মার্কিন প্রতিনিধি দল বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে শূণ্যরেখায় অবস্থান নেয়া রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখতে যায়। এসময় যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক দূত স্যাম ব্রাউনবেকসহ ইউএনএইচসিআর এবং আইওএম এর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। রোহিঙ্গারা যাতে ন্যায় বিচার পায় এবং দ্রুত নিজ দেশে ফিরতে পারে সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করছে বলে জানান স্যাম ব্রাউনবেক।
এদিকে মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশ করা ১১ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে মাত্র ৫ জনকে দেশটির সরকার ফেরত নেয়ার বিষয়টিকে হাস্যকর বলে মন্তব্য করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সে সময় তিনি বলেন, মিয়ানমার আলোচনার কথা বলে সময় নষ্ট করছে। রোববার সকালে রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই মিলনায়তনে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক বৈঠকের পর এ মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছে। যাদেরকে বায়োমেট্রিকসহ সরকার আইডি কার্ড দেয়া হয়েছে। তারা লোক দেখানোর জন্য একজন লোক নিয়ে গেছে। এটা হাস্যকর। তিনি আরো জানান, মিয়ানমার প্রত্যেক বার মিটিং করতে চাই। মিটিং হচ্ছে….
সূএ : সময় টিভি