অনলাইন ডেস্ক
: ভারতের রাজধানী দিল্লি এখন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় জ্বলছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিরোধী (সিএএ) আন্দোলনটি এখন রূপ নিয়েছে দাঙ্গায়। এতে বিশেষ করে রক্ত ঝরছে মুসলমানদের। এই দাঙ্গার অভিযোগের আঙুল হিন্দুত্ববাদীদের দিকে।
এর বাইরেও রয়েছে কিছু ব্যতিক্রম ঘটনা। এসব অসহায় মুলিমদের বাঁচাতে বেরিয়ে এসেছেন কেউ। যেমন মুসলমান প্রতিবেশীদের বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন এক হিন্দু যুবক।
ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই হিন্দু যুবকের নাম প্রেমকান্ত বাঘেল। তিনি দিল্লির শিব বিহার এলাকার বাসিন্দা। দাঙ্গার সময় একটি গ্রুপ মুসলিমদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। তখন সেই হিন্দু যুবক তাদের জীবন বাঁচাতে ছুটে যান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্বৃত্তরা ওই মুসলিমদের বাড়িতে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে জ্বলন্ত ঘরে আটকা পড়া মানুষের জীবন বাঁচাতে ছুটে যান বাঘেল।
আহত যুবক। পাশে জ্বলছে মুসলমানদের বাড়ি-ঘর। ছবি: ইন্ডিয়া টাইমস
ঘরের ভেতরে আটকে থাকা ঘনিষ্ঠ এক বন্ধুর বৃদ্ধা মাকে বের করতে গিয়ে পুড়ে যান তিনি। তার ৭০ শতাংশ পড়ে গেছে। এই ঘটনার পর দগ্ধ বাঘেল হাসপাতালে যাওয়ার জন্য কোনো গাড়ি পাননি। প্রতিবেশীরা অ্যাম্বুলেন্স ডাকলেও তা আর আসেনি। দগ্ধ শরীর নিয়ে সারা রাত ঘরের মধ্যে কাটাতে হয় তাকে।
সকালে তাকে নিয়ে দিল্লির জি টি বি হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনরা। সেখানে বার্ন ইউনিটে তার চিকিৎসা চলছে।
প্রেমকান্ত বাঘেল জানান, বর্তমানে নিজের জীবনের সঙ্গে লড়াই করতে হলেও, তিনি বন্ধুর মায়ের জীবন বাঁচাতে পেরে আনন্দিত। এদিকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় এখন পর্যন্ত ৩৯ জন মারা গেছেন।
প্রতিনিধি