অনলাইন ডেস্ক
: সালমান শাহ’র অধিকাংশ ছবির নায়িকা ছিলেন শাবনূর। সংখ্যায় প্রায় ১৪টি। একের পর এক সুপারহিট সব ছবি উপহার দিয়েছেন এই জুটি। শুটিংয়ের সুবাদে দুজনের মধ্যে ভালো একটি সম্পর্কও গড়ে ওঠে। এ নিয়ে মিডিয়া পাড়ায় ওই সময় চলে নানা গুঞ্জনও।
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে পিবিআই হেডকোয়ার্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, চিত্রনায়ক সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে-এমন অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই একটি স্লাইড শো দেখায়। সেখানে দেখানো হয়, ঘটনার আগের (আত্মহত্যা) দিন সন্ধ্যায় এফডিসির ডাবিং থিয়েটারে ‘প্রেম পিয়াসী’ ছবির ডাবিং চলাকালে সালমানের স্ত্রী সামিরা উপস্থিত হন এবং সালমান ও শাবনূরকে ঘনিষ্ট অবস্থায় দেখেন। তাদের ঘনিষ্ট অবস্থায় দেখে সামিরা রাগ করে ডাবিং থিয়েটার থেকে বের হয়ে যান। ঘটনার আগের রাত সাড়ে ১১টার দিকে সালমান শাহ’র মোবাইলে শাবনূরের ফোন আসে। সালমান কথা বলতে বলতে বাথরুমে ঢুকে যান। সেখানে সালমান চিৎকার করে বলেছিল যে, তাকে যেন আর ফোন দেওয়া না হয়।
স্লাইড শোতে আরও দেখা যায়, এরপর রাত সোয়া ১২টার দিকে সালমান শাহর মোবাইলে শাবনূর আবার কল করেন। শাবনূরের কল এসেছে দেখতে পেয়ে সালমান শাহ তার সিটিসেল ফোনটি মেঝেতে আছাড় দিয়ে ভেঙে ফেলেন। এ ছাড়া শাবনূরের উপহার দেওয়া ফ্যানটি মেঝেতে আছাড় দিয়ে ভেঙে ফেলেন। পরদিন সকালে সালমানের বাসার কাজে সাহায্যকারী মনোয়ারা ভাঙা ফ্যানটি ময়লা ফেলার ঝুড়িতে রাখেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সালমান শাহকে ঢাকার নিউ ইস্কাটন রোডের নিজ বাসায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই সময় এ বিষয়ে অপমৃত্যু মামলা করেছিলেন তার বাবা প্রয়াত কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী।
প্রতিনিধি