৬ বছর আগেই বিয়ে করেছেন চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক। স্ত্রীর নাম দীপা। ঢাকার মেয়ে দীপার সঙ্গে প্রেম করেছেন ৯ বছর। গতকাল শনিবার নিজেই বিয়ের খবর প্রকাশ করলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করলেন নিজের পুত্রের ছবি। জানালেন তার নাম সাদিক মো. সাইয়্যান। ডাক নাম টুকটুক। বয়স ৪ বছর ৪ মাস।
শনিবার বিকেলে এক পোস্টে ছেলের ছবি দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, তার ছেলেকে চলতি বছরই স্কুলে ভর্তি করিয়েছেন। জীবনের প্রথম পরীক্ষাতে সে প্রথম হয়েছে। ছেলের এই সাফল্য বাবা হিসেবে আবেগে ভাসালো সাইমনকে।
তিনি পোস্টের ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘বাবা-মা। পৃথিবীর সবচেয়ে অমুল্য রতন। যা কিনা অনেকের মতো আমিও ভাষায় প্রকাশ করতে পারি না! আমার আব্বুকে কখনো বলিনি, তুমি আমাদের কতো বড় শক্তি, ছায়া, ভালোবাসা। আরো কতো কি যে আমরা উপলব্ধি করি, তুমি আছো বলে।’
দর্শক-ভক্তদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কোনোদিন আপনাদেরও বলিনি আমিও বাবা হয়েছি। আমার জীবন, আমার সন্তান সাদিক মো: সাইয়্যান। আমার বড় ছেলে। ও তার বিদ্যালয় জীবনের প্রথম পরীক্ষায়, প্রথম হয়েছে। একজন বাবা হিসেবে এটাই আমার সেরা মুহুর্ত। ছেলের জন্য দোয়া চেয়ে তিনি লেখেন, ‘আমার টুকটুকের জন্য দোয়া করবেন যেনো মানুষের মতো মানুষ হয়।বাংলাদেশকে যেনো অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়। বাবাকে উদ্দেশ্য করে শেষ লাইনে সাইমন লেখেন, ‘বাবা তোমারই মতো আমিও বাবা হয়েছি। এখন বুঝি বাবা কতো কষ্ট তোমায় দিয়েছি।
বিয়ের বিষয় গোপন রাখার কারণ জানিয়েছেন এই চিত্রনায়ক। তিনি সাইমন বলেন, সবার ধারণা, বিয়ের খবর ভক্ত ও দর্শকেরা জানতে পারলে জনপ্রিয়তা কমে যাবে। এটা চিন্তা করে পরিবার থেকে আমার স্ত্রী আর অন্যরা বিয়ের বিষয়টি সামনে আনতে চাইছিলেন না। বুঝেছি এটা ভুল ধারণা। দর্শক ভালো অভিনয় দেখতে চান। ভালো গল্পের সিনেমা দেখতে পারলে নায়ক–নায়িকা বিবাহিত নাকি অবিবাহিত, তা মোটেও তাঁদের কাছে ম্যাটার করে না।
২০১২ সালে জাকির হোসেন পরিচালিত ‘জ্বী হুজুর’ দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু। পরের বছর ‘পোড়ামন’–এ অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পান। প্রশংসাও কুড়ান। এরপর আরও অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। আর ‘জান্নাত’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে ২০১৯ সালে সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন তিনি।
বর্তমানে সাইমন অভিনীত ‘আনন্দ অশ্রু’ নামের একটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। চিত্রনায়িকা মাহির মাহির বিপরীতে এই ছবিতে দেখা যাবে তাকে। এটি পরিচালনা করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান মানিক।
প্রতিনিধি