বাংলাদেশ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কল্যাণ সোসাইটি নামে এবার বড়লেখা উপজেলায় প্রতারণার ফাঁদ পেতেছেন মেলা ব্যবসায়ী মঈন খান বাবলু। সিলেটের বটেশ্বরের পর এবার তিনি মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার ”বড়লেখা সরকারি কলেজ মাঠে” মাসব্যাপী শিল্প-পণ্য বাণিজ্য মেলার আয়োজন করেছেন। চলতি মাসে ১০ ফেব্রুয়ারি ”বড়লেখা সরকারি কলেজ মাঠে” এই মেলাটি উদ্বোধন হয়। এদিকে ”বড়লেখা সরকারি কলেজ মাঠে” মাসব্যাপী মেলার আয়োজন করায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে পুরো উপজেলা জুড়ে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, কলেজের শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ী সমিতি। অপরদিকে ”সরকারি কলেজ মাঠে” মেলার আয়োজন করার প্রতিবাদে একটি পক্ষ বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিমকোর্টের দারস্থ হয়েছেন।
সূত্র জানিয়েছে, মেলার প্রধান সমন্বয়কারী সিলেট মেট্রোপলিট্রন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি সদস্য এম. এ মঈন খান বাবলু। দেশী পণ্য প্রসারের নামে মেলা আয়োজন করা হলেও বাংলাদেশ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কল্যাণ সোসাইটি নামের সংস্থাটির টার্গেট ওয়াটার পার্ক ও লটারির আয়োজন করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার। তাই প্রতি সপ্তাহের রাত ১০টায় র্যাফেল ড্র -এর আয়োজনও করেছেন তিনি।
বাংলাদেশ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কল্যাণ সোসাইটির সভাপতি এম.এম. মোশারফ হোসেন মেলা ব্যবসায়ী বাবলুর কাছের লোক। এই সংগঠনের সিলেট বিভাগে নেই কোনো অফিস। মোশারফের মাধ্যমে বড়লেখা উপজেলায়মেলা দিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া পায়তারা বাবলু।
অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, মেলায় নিম্নমানের পণ্য দিয়ে পসরা সাজানো হয়েছে। র্যাফেল ড্র-এর নামে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন না নিয়েই মেলায় প্রবেশ টিকিটের উপর কাগজের লটারির আয়োজন করা হয়েছে। এতে পুরস্কার হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে লোভনীয় পুরস্কার। আর এসবের প্রলোভনে পড়ে সাধারণ মানুষ হাজার হাজার টাকার টিকেট ক্রয় করছেন।
এ বিষয়ে বড়লেখা সরকারি কলেজের অধ্যাপক জাহেদ আহমদ, বড়লেখা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদের মুঠোফোনে কল রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
”সরকারি কলেজ মাঠে” মেলার আয়োজন করার প্রতিবাদের বিষয়টি সুপ্রিমকোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইয়াছিনুল হক। তবে সুপ্রিমকোর্ট থেকে এ ব্যপারে কোনো ধরনের আদেশ তার কাছে আসেনি। তিনি আরো জানান, মেলায় কোনো ধরনের লটারি বানিজ্য বা কোনো অবৈধ কার্যকলাপ চলতে দেয়া হবে না।
নির্বাহী সম্পাদক