এক সময়ের ক্ষুধা-দারিদ্র্যের ভূমি, তলাবিহীন ঝুড়িসহ নানা অবমাননাকর তকমা ঝেড়ে ফেলে একটি স্থিতিশীল সমৃদ্ধ অর্থনীতি অর্জনের পথে বাংলাদেশ এখন অপেক্ষা করছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের। সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও আপামর জনসাধারণের কঠিন পরিশ্রমের ফসল হিসেবে ইতোমধ্যে স্বল্প আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক প্রতিবেদন বলছে, এরই মধ্যে অন্তর্ভুতিমূলক নানা উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ অনেকটাই পেছনে ফেলেছে প্রতিবেশী ভারত, পাকিস্তানসহ অনেক দেশকেই। এখন
মানুষ স্বপ্ন দেখছে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তরিত হওয়ার। বৈশ্বিক নানা টানাপড়েনে বর্তমানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির স্থিতি ধরে রাখতে ভারতকে যখন রীতিমতো যুদ্ধ করতে হচ্ছে, সেখানে চলতি অর্থবছর এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিই সবচেয়ে বেশি হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে অনেকে। জাতিসংঘের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি ২০২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৭.৮ শতাংশ। তার পরও ভারতের একশ্রেণির রাজনীতিক প্রায়ই বাংলাদেশকে তাচ্ছিল্য করে বক্তব্য দিয়ে চলেছেন প্রতিনিয়ত। তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেই দেশটির বিখ্যাত সাংবাদিক ও লেখক কারান থাপড় তার এক বিশ্লেষণে চোখে আঙুল দিয়েই দেখিয়েছেন বাস্তবতা। ‘ভারতকে যেভাবে ছাড়িয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’ শীর্ষক তার ওই বিশ্লেষণী প্রতিবেদনটি গত শনিবার প্রকাশ করেছে হিন্দুস্তান টাইমস।
বিশ্লেষণে কারান থাপড় বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমি হেনরি কিসিঞ্জারকে দায়ী করি। ১৯৭০ সালের দিকে তিনি বাংলাদেশকে উল্লেখ করেছিলেন আন্তর্জাতিক তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে। সন্দেহ নেই, ওই সময় বাংলাদেশ তা ছিল। বারবার ভয়াবহ বন্যায় টিভিতে প্রচারিত ধারাবাহিক ফুটেজ দেশটির এই ভাবমূর্তি নিশ্চিত করেছিল। ফলে কিসিঞ্জারের ওই বর্ণনা টিকে যায়। কিন্তু এখন বাংলাদেশ একটি ভিন্ন দেশ। তাদের বিষয়ে বিশ্বের অভিমত হয়তো খুব ধীরে ধীরে পাল্টাচ্ছে, যদিও আমি এ বিষয়ে নিশ্চিত নই। কিন্তু ভারতে আমাদের ১৯৭০-এর দশকে আটকে থাকার কোনো মানে হয় না। তার পরও গত সপ্তাহে ভারতের এক প্রতিমন্ত্রী যা বলেছেন তাতে সেটাই স্পষ্ট হয়। সুত্র: আমাদেরসময়
প্রতিনিধি