Home » প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে কলেজ শিক্ষিকার গায়ে আগুন দিলো যুবক

প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে কলেজ শিক্ষিকার গায়ে আগুন দিলো যুবক

অনলাইন ডেস্ক

: প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় কলেজ শিক্ষিকা অঙ্কিতা পিসুডের (২৫) গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় ভিকি নাগরাল(২৭) নামে এক যুবক। পরে দগ্ধ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সাত দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ সোমবার সকালে ওই শিক্ষিকার মৃত্যু হয়। এর আগে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের ওয়ার্ধায় অঙ্কিতার গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয় ভিকি নাগরাল।

পুলিশের বরাত দিয়ে ভারতের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানায়, নিহত শিক্ষিকা অঙ্কিতা পিসুডেকে প্রায় দুবছর ধরে ওই যুবক উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। আগুন লাগানোর পরেই ভিকিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মহারাষ্ট্র পুলিশ সূত্র জানায়, বিবাহিত ভিকির সাত মাসের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই ওই তরুণীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু অঙ্কিতা রাজি না হওয়ায় নানা ভাবে তাকে হেনস্থা ও উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

তদন্তকারী এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, গত বছর একবার আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন ভিকি। এর মধ্যেই ৩ ফেব্রুয়ারি সকাল সোয়া ৭টার দিকে একটি বাস থেকে নামতেই অঙ্কিতার পথ আটকান ভিকি। নিজের বাইক থেকে পেট্রোল বের করে তার গায়ে ঢেলে দেন। এরপর আগুন লাগিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান ভিকি। সে সময় এলাকার লোকজন ছুটে গিয়ে কোনোরকমে আগুন নেভান। কিন্তু ইতিমধ্যেই তার শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে যায়। এ ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ ভিকিকে গ্রেপ্তার করে।

পরে ওই শিক্ষিকাকে ভর্তি করা হয় নাগপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে সাতদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ সোমবার তার মৃত্যু হয়।

ওই হাসপাতালের ডিরেক্টর অনুপ মারার জানান, আজ সকাল ৭টার দিকে অঙ্কিতাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ‘সেপ্টিসেমিক শক’-এ তার মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকদের প্রাথমিক অনুমান। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ পুলিশকে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ দিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোড়ন পড়ে যায় ওয়ার্ধায়। এলাকায় ব্যাপক পুলিশি মোতায়েন ও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ভিকির ফাঁসির দাবিতে এলাকার নারী ও কলেজ শিক্ষার্থীরা মিছিলও করেছেন। গত সপ্তাহে হাসপাতালে তরুণীকে দেখে আসেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *