অনলাইন ডেস্ক
: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদের বেতন স্কেল ‘গ্রেড-১৩’ নির্ধারণ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বেতন গ্রেড উন্নীত করে এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করেছে মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের দাবি ছিল, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের যথাক্রমে
গ্রেড-১১ ও গ্রেড-১০ প্রদান করা হোক। বর্তমানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা ‘গ্রেড-১৪’ এবং প্রশিক্ষণবিহীন সহকারী শিক্ষকরা ‘গ্রেড-১৫’ স্কেলে বেতন পাচ্ছেন। এ আদেশে, এখন থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন শিক্ষদের সবার বেতন একই গ্রেডে ‘গ্রেড-১৩’ স্কেলে পাবেন।
এতে বলা হয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাঠপর্যায়ের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতনবৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১১০০০-২৬৬৯০ ‘গ্রেড-১৩’ নির্ধারণ করা হলো- যা বিদ্যমান বেতন স্কেল ১০২০০-২৪৬৮০ ‘গ্রেড-১৪’ (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) এবং ৯৭০০-২৩৪৯০ ‘গ্রেড-১৩’ (প্রশিক্ষণবিহীন)।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯-এর যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী পূরণযোগ্য পদের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী এ আদেশ কার্যকর হবে। প্রশিক্ষণবিহীন ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একীভ‚ত করে একটি গ্রেড নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড উন্নীত করা হলেও প্রধান শিক্ষকদের বেতন গ্রেড আগের মতোই রাখা হয়েছে। অর্থাৎ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা গ্রেড-১১ এবং প্রশিক্ষণবিহীন গ্রেড-১২ স্কেলে বেতন পাবেন।
গ্রেড উন্নীত হওয়ার পরও সন্তুষ্ট নন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্দোলনকারী বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব মোহাম্মদ শামছুদ্দিন গতকাল আমাদের সময়কে বলেন, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের বেতনবৈষম্য নিরসনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদনকৃত গ্রেড-১৩ বেতন নির্ধারণে আমরা সহকারী শিক্ষকরা মোটেও সন্তুষ্ট নই। আমাদের দাবি, সহকারী শিক্ষকদের গ্রেড-১১ ও প্রধান শিক্ষকদের গ্রেড-১০ নির্ধারণ করতে হবে। মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড ও প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেডের ঘোষণা দেবেন, এটাই আমাদের চাওয়া।
প্রতিনিধি