Home » পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টেও বিবর্ণ বাংলাদেশ

পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টেও বিবর্ণ বাংলাদেশ

ওয়েলিংটন থেকে চট্টগ্রাম, ইন্দোর থেকে ইডেন। মাঠ বদলেছে, উইকেট বদলেছে। পাল্টেছে কন্ডিশন। শুধু বাংলাদেশের টেস্ট ব্যাটিংয়ের চিত্রে পরিবর্তন আসেনি। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টেও শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েন মুমিনুলরা। টেস্টে আগের দশ ইনিংসের মতো পিন্ডি টেস্টেও বাংলাদেশ থামে দুইশ’ রানের গন্ডিতে। প্রথম দিন শেষে প্রথম ইনিংস শেষ করে ২৩৩ রান তুলে।

দ্বিতীয় দফায় পাকিস্তান সফরের এই টেস্টে টস পক্ষে আসেনি বাংলাদেশের। তবে বোলিং কোচ ওটিস গিবসনের মতে, উইকেট খুব কঠিন ছিল না। চ্যালেঞ্জ ছিল প্রথম দু্ই ঘণ্টা কাটিয়ে দেওয়ার। সেটাই করতে পারেনি বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান তামিম-সাইফ, মুমিনুল-শান্তরা। পিন্ডিতেও তাই রান বড় হয়নি দলের।

টেস্টে বাংলাদেশ আগের দশ ইনিংসের মধ্যে গত বছর হ্যামিলটনে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪২৯ রান করে। বাকি নয় ইনিংসই দুইশ’ রানের আশ-পাশে গিয়ে থামে টিম টাইগারদের। ভারতের বিপক্ষে ইন্দোরে ২১৩, ইডেনে যেমন ১৯৫। চট্টগ্রামে আফগানদের বিপক্ষে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ২০৫, আবার হ্যামিলটনে এক ইনিংসে ২৩৪ তো ওয়েলিংটনে এক ইনিংসে ২১১ রান তুলতেই সাজঘরে ফেরেন বাংলাদেশের সব ব্যাটসম্যান।

বাংলাদেশ দলের হয়ে পিন্ডি টেস্টে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেন মোহাম্মদ মিঠুন। ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্ট খেলতে নামা নাজমুল শান্ত ৪৪, মুমিনুল ৩০, লিটন দাস ৩৩ এবং মাহমুদুল্লাহ ২৫ রান করে ফেরেন। টেস্টে উইকেটে সেট হলে ব্যাটসম্যানদের চোখ থাকে বড় রানের দিকে। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা উইকেট বিলিয়ে ফিরেছেন একের পর এক। মুমিনুলের বাইরের বলে শট খেলে আউট হওয়া। লিটনের বড় শট খেলতে যাওয়ার চেষ্টা তাই বিপদে ফেলেছে দলকে।

অথচ বাংলাদেশ দলের টেস্ট অধিনায়ক পিন্ডি টেস্ট দিয়ে ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রথম দিন শেষে সেই বৃত্তেই ক্রিকেটাররা। দলের বিপদে এ ম্যাচে তাইজুল ইসলাম ২৪ রানের ভালো এক ইনিংস খেলেন। পাকিস্তানের হয়ে তাদের পেসাররা দারুণ বোলিং করেন। শাহিন শাহ আফ্রিদি ৫৩ রান দিয়ে তুলে নেন ৪ উইকেট। লেগ স্পিনার ইয়াসির শাহ বিবর্ণ থাকলেও হারিস সোহেল গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দুটি ব্রেক থ্রু এনে দেন। বাকি তিন উইকেট ভাগ করে নেন মোহাম্মদ আব্বাস ও নাসিম শাহ।

রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট, প্রথম দিন;

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ২৩৩/১০

তামিম ইকবাল-৩, সাইফ হাসান-০, নাজমুল শান্ত-৪৪, মুমিনুল হক-৩০, মাহমুদুল্লাহ-২৫, মোহাম্মদ মিঠুন-৬৩, লিটন দাস-৩৩, তাইজুল ইসলাম-২৪, রুবেল হোসেন-১, আবু জায়েদ-০, এবাদত-০(অপ.)।

পাকিস্তান বোলিং:

শাহিন আফ্রিদি-২১.৫-৫৩-৪, মোহাম্মদ আব্বাস-১৭-১৯-২, নাসিম শাহ-১৬-৬১-১, ইয়াসির শাহ-২২-৮৩-০, হারিস সোহেল-৬-১১-২।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *