অনলাইন ডেস্ক
: শিরোনামের পরে প্রথম ছবিটি দেখলে চীনের উহান শহরের বর্তমান পরিস্থিতির কথা আর বর্ণনা করার দরকার নেই। কারণ, যাদের ছবি দেখতে পাচ্ছেন, তারাই প্রমাণ কতটা ভয়ঙ্কর পরিস্থিটি শহরটিতে। নিদ্রাহীন সেবা আর দীর্ঘক্ষণ মাস্ক পরে থাকায় উহানের চিকিৎসক ও নার্সসহ হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট কর্মীদের চেহারায় যেন প্রাচীনতম ভাব এসেছে। সবারই চেহারায় ছোপ ছোপ দাগ, না ঘুমানোর কারণে চোখের নিচে কালি পড়ে গেছে। অনেক চিকিৎসককে আবার ঘুমাতে না পেরে বিলাপ করে কান্না করতে দেখা গেছে। অনেককে দেখে চেনারও উপায় নেই।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা মেট্রো তাদের এক প্রতিবেদনে উহান শহরের চিকিৎসক ও নার্সদের কিছু ছবি প্রকাশ করেছে যেখান থেকে সেখানকার অবস্থা নিরুপণ করা যায়।
তা ছাড়া জিনহুয়াসহ চীনের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোর খবর, দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ হুবেইয়ের রাজধানী উহানে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে প্রতিনিয়ত সেবার কারণে ঠিকমতো খাওয়া কিংবা ঘুমানোর সময়টুকুও পাচ্ছেন না চিকিৎসক বা নার্সসহ সংশ্লিষ্টরা। প্রায় সবাই মারাত্মকভাবে ক্লান্ত। কেউ স্বল্প সময়ের জন্য বিশ্রাম নিতে পারছেন। অনেকে আবার চেয়ারেই খানিকটা ঘুমিয়ে নিচ্ছেন।নার্স বা চিকিৎসক অনেকেই টয়লেটে যাওয়ার সময় পাচ্ছেন না।
যে কারণে তারা ডায়াপার ব্যবহার করছেন। ভাইরাসটির সংক্রমণ ঠেকাতে ফেসমাস্ক, চশমা আর সুরক্ষিত পোশাক পরতে পরতে তাদের চেহারায় দাগ পড়ে যাচ্ছে। চোখের নিচে কালি জমে গেছে।অনেকের পরিচয় পত্রের সঙ্গে চেহারর মিল পাওয়া যাচ্ছে না।মাস্ক আর সুরক্ষিত পোশাকের কারণে অনেকের মুখে ও শরীরে ফোসকা, ঘাসহ নানা ধরনের দাগ দেখা দিয়েছে। অনেকের চেহারায় ছোটবড় গর্ত দেখা গেছে।
আবার অনেকে পারছেন না ঠিকমতো চোখ খুলে তাকাতে।গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস সংক্রমণে মারা গেছেন আরও ৬৫ জন মারা গেছেন। এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯২ জনে। গত মঙ্গলবার চীনে নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৩ হাজার ৮৮৭ জন। শেষ হিসাব পাওয়া পর্যন্ত চীনে প্রতিষেধকবিহীন এই ভাইরাসে ২৪ হাজার ৩২৪ জন আক্রান্ত হলেন।
প্রতিনিধি