ডেক্স রিপোর্ট : সারা দেশব্যাপী অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান চললেও সিলেটের বিশ্বনাথে অবৈধ দখলদাররা বহাল তবিয়তে রয়েছে।
দখলদারদের উচ্ছেদের জন্য গণমাধ্যমে অনেক লেখালেখি, স্বারকলিপি পেশ এমনকি মানববন্ধন কর্মসুচী পালন করলেও অবৈধ দখল উচ্ছেদ হচ্ছেনা। এ নিয়ে সচেতন মহলে ক্ষোভ বিরাজ করছে। সম্প্রতি বিশ্বনাথ রশিদপুর রাস্তার পাশের সরকারি খাল দখলের হিড়িক পড়েছে। অথচ সংশ্লিষ্ট বিভাগের বড় বড় ব্যাক্তিরা এবং প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা অবৈধ্য দখল কার্যক্রম দেখেও না দেখার ভান করছেন। এসব সরকারি জলাভুমিতে বড় বড় দালানও তৈরী হচ্ছে। সরকারি খাল ও জলাভূমির পানি দিয়ে শীত মৌসুমে অনেক কৃষক ইরি ব্যুরো চাষ করতে পারতেন এবং এলাকার পরিবেশ মোটামোটি সুন্দর থাকত। এসব খাল ভরাটের কারনে পরিবেশেরও মারাত্বক ক্ষতি হচ্ছে। সড়ক ও জনপদ বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসন দখলবাজদের পক্ষে রহস্য জনক কারনে খুবই সহানুভূতিশীল।
সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলার বৈরাগী বাজার থেকে সিংগের কাছ বাজার পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে অবৈধ দখলদার এবং সুরমা খাজাঞ্চি ও মাকুন্দা নদীর দুই তীরের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে স্বারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। স্বারকলিপিতে বলা হয় বৈরাগী থেকে সিংগের কাছ বাজার পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে বাড়ি ঘর বাউন্ডারির দেয়াল সহ বিভিন্নভাবে অবৈধ দখলদাররা সরকারি রাস্তার পাশের খাল কোথাও কোথাও রাস্তার অনেক ভূমি জোরদখল করে রেখেছে এতে দুটি গাড়ি পারাপার হতে নানা দূর্ঘটনা ঘটে। মাঝে মধ্যে দীর্ঘ সময় যানজট লেগে থাকে। এতে অনেক শিক্সা প্রতিষ্টানের শিক্ষার্থীরা যথা সময়ে ক্লাসে যেতে পারেনা। মহিলা ও শিশুরা নানা ভোগান্তির শিকার হন।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও সিলেট-২ আসনের সাংসদ মোকাব্বির খান এসব অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের জন্য বললেও তা কার্যকর হচ্ছেনা। অতিস্বত্বর অবৈধ্য দখলদারদের উচ্ছেদ করে নদীর দুই তীর উম্মোক্ত ও রাস্তা প্রশস্ত করনের দাবি জানানো হয়। স্বারকলিপিতে স্বাক্ষর করেছেন নওধার গ্রামের বিশিষ্ট সমাজসেবী ও রাজনীতিবীদ মো: সামসুল ইসলাম, আজিজুর রহমান কুদ্দুস, ভাটিপাড়া গ্রামের ফজলুর রহমান, বাবুল হোসেন, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন প্রমুখ।