ম্যাচের বয়স ৬৪ মিনিট। ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকা শ্রীলংকা মরিয়া। কর্নার পাওয়ার পর লংকান গোলরক্ষক ও এক ডিফেন্ডার ছাড়া বাকি সবাই বাংলাদেশ সীমানায়। লংকানদের কর্নার কিক বাংলাদেশের এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে প্রায় মাঝমাঠে।
নিজেদের অর্ধে লংকান সুপনের পা থেকে বলটি কেড়ে নিয়ে ভোঁ-দৌড় দিলেন মতিন মিয়া। তাকে আটকাতে পারলেন না শেষ ডিফেন্ডারও। এগিয়ে এলেন গোলরক্ষক রুয়ান অরুনাশ্রি। তাকে ইনসাইড ডজে কাটিয়ে বল পাঠিয়ে দিলেন জালে। বাংলাদেশ ২ : ০ শ্রীলংকা।
মতিনের দ্বিতীয় গোলের পরই মূলতঃ ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় শ্রীলংকা। বাংলাদেশের সেমিতে ওঠার আনন্দ ছিল সময়ের ব্যপার মাত্র। ঘরোয়া ফুটবলে আলোচিত মতিন আন্তর্জাতিক ম্যাচে গোলের খাতা খুললেন ডাবলে। আর ম্যাচপরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসে নিজের করা দ্বিতীয় গোলটিকে দিলেন ক্যারিয়ারসেরা স্বীকৃতি।
‘আমি জোড়া গোল করেছি। আন্তর্জাতিক ম্যাচে প্রথম গোল পেলাম। ম্যাচসেরা হয়েছি। তবে সবচেয়ে বড় কথা ম্যাচ জয়। আমি জয়েই বেশি খুশি হয়েছি। আমি আগে একাদশে জায়গা পেতাম না। সুযোগ পেয়েছি গোল করেছি। এখন আর পজিশনটা হারাতে চাই না। বাকি ম্যাচগুলোতেও সেরা একাদশে খেলতে চাই। দেশের জন্য গোল করতে পেরেছি বলে আনন্দ লাগছে। সবার মধ্যেই জয়ের তৃষ্ণা ছিল। ড্রেসিংরুমেও সবার একই কথা ছিল জিততেই হবে। মাঠে আমরা সেরাটা খেলেছি এবং জিতেছি’- ম্যাচের পর বলছিলেন মতিন মিয়া। সৌজন্যে : জাগোনিউজ২৪
প্রতিনিধি