স্কয়ার লেগ থেকে অসাধারণ থ্রো শরিফুল ইসলামের। রান আউট লুক ওল্ডনো। আইসিসি তাদের অফিশিয়াল পেজে ভিডিওটা আপলোড করে লিখেছিল-‘দুর্দান্ত’। গতকাল শনিবার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে এমন অসাধারণ শুরু করে বাংলাদেশি যুবারা। জিম্বাবুয়েকে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ৯ উইকেটে হারিয়েছে তারা। জয়ের জন্য বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচটিতে ২২ ওভারে ১৩০ করতে হতো আকবর আলীর দলকে। ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায় ৬৪ বল হাতে রেখে দাপুটে জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়া যুবারা।
এদিন ২৮.১ ওভারে ১৩৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো ধুঁকছিল জিম্বাবুয়ে। পোচেফস্ট্রুমে তখনই বৃষ্টির বাধা। একটা সময় মনে হচ্ছিল বৃষ্টিতে ভেসে যাবে ম্যাচ। তাহলে দামি ১টি পয়েন্ট যেত হাত ফসকে। তবে বৃষ্টি থামার পর মাঠ শুকিয়ে গেলে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে বাংলাদেশ জয়ের লক্ষ্য পায় ২২ ওভারে ১৩০ রান। স্বস্তি ফেরে আকবর আলীর দলে। ওভার কমে আসা আর বৃষ্টির শঙ্কায় বাংলাদেশ ব্যাট করতে নেমে ঝড় তোলে শুরু থেকে। ওপেনার তানজিদ হাসান ১০ বলে ৩২ রান করে বাড়িয়ে দেন রানের গতি। বেশিক্ষণ অবশ্য থাকতে পারেননি। এরপর দ্বিতীয় ওভারে বাংলাদেশের দুই ওপেনার নেন ২৮ রান।
১৩তম বলে উইকেট হারালেও দমে যাননি পারভেজ হোসেন ইমন ও মাহমুদুল হাসান জয়। দুজন অবিচ্ছিন্ন থেকে দ্বিতীয় উইকেটে গড়েন ৯১ রানের জুটি। তাতেই ১১.২ ওভারে পৌঁছে যায় জয়ের বন্দরে। পারভেজ হোসেন ইমন ৩৩ বলে ৫ বাউন্ডারি ২ ছক্কায় অপরাজিত ছিলেন ৫৮ রানে। ম্যাচ সেরার পুরস্কারটাও তাঁর। মাহমুদুল হাসান জয় ২৬ বলে ৫ বাউন্ডারিতে মাঠ ছাড়েন হার না মানা ৩৮ রানে।
এদিকে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়ে পঞ্চম ওভারে হারায় ওপেনার ওয়েসলি মাদহেভারাকে। ১৯ বলে ১৮ করা ওয়েসলিকে ফেরান তানজিম হাসান সাকিব। তাঁর মতো সমান ১টি করে উইকেট শরিফুল ইসলাম, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, শামীম হোসেন ও রকিবুল হাসানের। জিম্বাবুয়ে ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন তাদিওয়ানসে মারুমানি। গ্রুপ ‘সি’তে এক ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত শীর্ষে উঠল বাংলাদেশ। আগামী ২১ জানুয়ারি দ্বিতীয় ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে হারালে পরের রাউন্ডের টিকিট পাবে বাংলাদেশের যুবারা।
প্রতিনিধি