বিশেষ প্রতিবেদকঃ দীর্ঘদিন ধরে মানুষের অধিকার আদায় এবং নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত রয়েছেন সমাজকর্মী এবং বাশু বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ইসফাক আহমদ (জেনন জিহান)।
এবার তিনি আমাদের কাছে নতুন ধরনের প্রতারণার খবর শোনালেন। আহসান উল্লাহ ভূঁইয়া টুটুল নামক ব্যক্তি তাকে গত কয়েকমাস যাবত হয়রানি করে যাচ্ছেন। ইসফাক আহমদের সাথে কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন না করলেও জনৈক আহসান সাহেব তাকে ব্যক্তিগতভাবে ফোন দিয়ে এবং ম্যাসেজের মাধ্যমে হয়রানি করে চলেছেন।
উল্লেখ্য, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সালে শেওড়া রেলগেটস্থ জেব্রাক্রসিং এ পারাপার হতে গিয়ে আহসান সাহেবের পুত্র সেন্ট জোসেফ কলেজের শিক্ষার্থী আদনান তাসিন বাস চাপায় নিহত হয়। উক্ত বিষয়টি তুলে ধরে এলাকাবাসীসহ বিগত ৩ মার্চ ২০১৯ জিহান একাধিক সমাজকর্মীকে সাথে নিয়ে মানববন্ধন ও শোকসভা পালন করেন।
পরবর্তীতে আহসান উল্লাহ টুটুল সাহেব সংবাদ সম্মেলন করার প্রস্তুতি গ্রহণ করলে জিহানকে না জানিয়ে গোলাম রহমান দূর্জয় নামক ব্যক্তির সাথে টাকার লেনদেন করেন। দূর্জয় টাকা নিয়েও সংবাদ সম্মেলন করতে না পারায় এবং পরে দূর্জয়ের সাথে আহসান সাহেবের বিবাদ জন্ম নিলে দূর্জয়ের সাথে যোগাযোগ করতে না পেরে তিনি জিহানের সাথে যোগাযোগ করেন।
জিহানকে চাপ দিতে থাকেন এক পর্যায়ে ভুয়া নাম্বারে আহসান সাহেব ভাটারা থানার এস আই পরিচয় দিয়ে মামলার হুমকি প্রদান করেন।
জিহানের সাথে এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি আমাদের বলেন, আহসান সাহেব দূর্জয়ের সাথে যোগাযোগ করে তাকে না পেয়ে আমাকে ফোন দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন এবং রাগান্বিত হয়ে বলেন দূর্জয়কে দেওয়া টাকা ফেরত না দিলে পরিণাম ভালো হবে না।
আমি যেন তার ২৫ হাজার টাকা ফিরত দেই এই হুমকি দিয়ে তিনি আমাকে ব্লক করে দেন। গত ১৩ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে আহসান সাহেবের বন্ধুর পরিচয়ে 01312295080 থেকে আমার ব্যক্তিগত ফোনে মুঠো বার্তায় সম্মান বড় নাকি টাকা? উল্লেখপূর্বক হুমকি প্রদান করে ম্যাসেজ দেন। এছাড়াও ফেসবুক একাউন্টে গালাগালি করে ইনবক্স করেছেন। ১৮ জানুয়ারি ২০২০ তারিখেও তিনি আমাকে তার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর 01532530900 থেকে ম্যাসেজ দিয়ে হয়রানি করছেন।
এ ব্যাপারে আহসান সাহেবের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন কেউ ধরেনি।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে দেখা গেছে আহসান সাহেব ছেলেকে হারিয়ে, ক্ষতিপূরণ আদায়ে ব্যর্থ হয়ে এবং দূর্জয়কে না পেয়ে ইসফাক আহমদকে চাপ দিয়ে কৌশলে টাকা হাতিয়ে নেবার নতুন হয়রানির ফাঁদ খুলেছেন। নিজের মৃত ছেলের জাস্টিস আদায়ের নামে সমাজকর্মীদের টার্গেট করে হয়রানি এবং প্রতারণার এমন চিত্র এই প্রথম দেশে দেখা গেলো।
নির্বাহী সম্পাদক