সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের বুড়িস্থল এলাকার কমরপুর চক মৌজার সরকারি খাস ভূমির মাটি বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে সরকারি এক প্রাথমিক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে লিখিত অভিযোগ প্রদান করেছেন জসীম উদ্দীন নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা।
অভিযোগের সত্যতা জানতে বৃহস্পতিবার সরেজমিনে বুড়িস্থল এলাকায় গিয়ে দেখা যায় কমরপুর মৌজার সাবেক দাগ নং ৪৩০ ও ৪৯৩ হাল দাগ হতে টাক্টর দিয়ে মাটি কেটে অনত্র নিয়ে যাচ্ছেন কিছু শ্রমিক। স্থানীয়রা জানান, সরকারি এই খাসভূমি থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছেন এনাম আহমদ নামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক। তিনি বেতগঞ্জ বাজারের জেকেএম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
সুনামগঞ্জ-বেতগঞ্জ সড়কে পার্শবর্তী কয়েক কেদার ভূমির বস্তি মাটি নিজের মালিকানায় দাবি করে স্থানীয়দের কাছ থেকে বিক্রি করছেন। ইতোমধ্যে তিনি এক প্রভাবশালীর কাছে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা মাটি বিক্রি করেছেন বলে জানান স্থানীয়রা। এছাড়াও নতুন করে টাক্টরের প্রতি চুক্তি করে বিভিন্ন জনের কাছে মাটি বিক্রি করছেন তিনি। এনিয়ে স্থানীয় সচেতন মহল থেকে বিরুপ প্রতিক্রিয়া জানালেও কর্ণপাত করছেন না এই শিক্ষক।
এদিকে মাটি বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে দুইপাশে পাড় তৈরী করে স্থায়িভাবে ভূমি দখল করার পায়তার করছেন এই শিক্ষক। ফলে পার্শবর্তী সেতু দিয়ে পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা হওয়াসহ ভবিষ্যতে সুনামগঞ্জ-বেতগঞ্জ সড়ক প্রসস্থ করণে মাটির সংকট দেখা দেয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
করিম নামে একস্থানীয় বাসিন্দা জানান, আমরা জন্মের পর থেকে দেখে আসছি এই জায়গাটা খাসভূমি হিসেবে পড়ে আছে। হঠাৎ করে দেখলাম এই ভূমিতে মাটি কাটা হচ্ছে। যতদূর জানি এই মাটি বিক্রি করছেন এনাম আহমদ নামে এক শিক্ষক।
খাসভূমি থেকে মাটি বিক্রি করার কথা স্বীকার করে এনাম আহমদ প্রতিবেদককে জানান এই ভূমির পাশের আমার বাবার মালিকানায় কিছু জমি রয়েছে। এই ভমি খাস কিনা আমি জানি না। তবে কাগজপত্র সম্পর্কে আমি তেমন কিছু জানিনা। তাই নিজেদের মালিকানার ভূমি হিসেবে মাটি কাটাচ্ছি। এ পর্যন্ত মাত্র ৩৫ হাজার টাকার মাটি বিক্রি করেছেন বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসমীন নাহার রুমার মুঠোফোনে একাধিক বার কল করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
প্রতিনিধি