Home » যুক্তরাষ্ট্র আক্রান্ত হলে ইরানের ৫২ স্থানে হামলার হুমকি ট্রাম্পের

যুক্তরাষ্ট্র আক্রান্ত হলে ইরানের ৫২ স্থানে হামলার হুমকি ট্রাম্পের

অনলাইন ডেস্ক : তেহরান যুক্তরাষ্ট্রের কোনও নাগরিকের ওপর অথবা স্থাপনায় হামলা চালালে ইরানের ৫২টি স্থাপনায় পাল্টা হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। খবর বিবিসির

শুক্রবার ইরাকের বাগদাদ বিমানবন্দরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ড্রোন হামলা চালিয়ে সামরিক কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘চরম প্রতিশোধ’ নেওয়ার ঘোষণা দেয় ইরান। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই হুমকি দিলেন ট্রাম্প।

এক টুইটবার্তায় ট্রাম্প বলেছেন, ইরান হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে তারা মার্কিন সম্পদে আঘাত করবে। কিন্তু এমনটা হলে আমরা দ্রুততম সময়ে এবং মারাত্মকভাবে ইরানের ওপর হামলা চালাবো। ইরানের এমন ৫২টি স্থাপনা লক্ষ্য করে রেখেছি আমরা। যুক্তরাষ্ট্র কোনও হুমকির মুখোমুখি হতে চায় না। 

তিনি জানান, ১৯৭৯ সালের নভেম্বরে তেহরানে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস থেকে ৫২ জন আমেরিকানকে জিম্মি করা হয়েছিল। তারা এক বছরেরও বেশি সময় বন্দি ছিলেন। ওই ৫২ জনের কথা স্মরণ করেই ইরানের ৫২ স্থাপনায় টার্গেট করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার ভোরে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরাকের বাগদাদ বিমানবন্দরে প্রাণ হারান সোলাইমানিসহ আরও কয়েকজন। জেনারেল সোলাইমানি ইরানের সেনাবাহিনী রেভল্যুশনারি গার্ডের অভিজাত বাহিনী কুদস ফোর্সের প্রধান ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন বলেছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশনা অনুযায়ী তাকে হত্যা করা হয়েছে।

এরপর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এ হামলার পেছনে থাকা অপরাধীদের বিরুদ্ধে চরম প্রতিশোধ নেওয়া হবে। ৬২ বছরের সোলাইমানির মৃত্যুতে তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেন তিনি। এ হামলার পরপর বিশ্বব্যাপী তেলের দাম বেড়ে গেছে।

এক প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়া বলেছে, ইরানি জেনারেলকে হত্যা যুক্তরাষ্ট্রের উন্মত্ত পদক্ষেপ। এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদি বলেছেন, সোলাইমানির হত্যাকাণ্ড আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য ভয়ানক ঘটনা।

১৯৯৮ সাল থেকে ইরানের কুদস ফোর্সের নেতৃত্ব দেওয়া সোলাইমানি ইরানের শাসন ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তি। রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে দেওয়া হতো জাতীয় বীরের সম্মান। তার কুদস বাহিনী সরাসরি দেশটির সর্বোচ্চ নেতা খামেনির কাছে জবাবদিহি করে। খামেনির পর জেনারেল সোলাইমানিকে ইরানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি মনে করা হতো। তাকে হত্যার ঘটনায় তেহরান ও ওয়াশিংটনের সম্পর্কে নতুন অস্থিরতা এবং বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনায় নতুন মাত্রা দেবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *