শুদ্ধবার্তাটোয়েন্টিফোরডটকমঃ
বাংলা নববর্ষ বাঙ্গালির উৎসবের দিন, আনন্দের দিন। আনন্দ আর উচ্ছাসে হারিয়ে যাওয়ার দিন। নানা নকশা আঁকা পোষাক আর শাড়ী পরে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সকলেই মেতে উঠেন এই উৎসবে। পান্তা-ইলিশ আর মন্ড-মিঠাইয়ের সঙ্গে নাচে-গানে ঢাকে-ঢোলে এবং বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রার মাধ্যমে বাঙ্গালীরা বরণ করে নেয় বাংলা নববর্ষ তথা পহেলা বৈশাখকে। বর্ণিত এই চিত্রটি অবশ্য বাংলার নগর সংস্কৃতি। গ্রামে গঞ্জে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের চিত্র অন্যরকম।
আজ পহেলা বৈশাখ ১৪২৫। উৎসবমুখর পরিবেশে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো সিলেটেও ব্যাপক আয়োজনের মধ্য বর্ষবরণ শুরু হয়েছে।
শনিবার ভোরে সিলেট জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নগরীতে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। নগরীর ক্বীনব্রীজ থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়ে সিলেট কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় শহিদমিনারে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রা পরবর্তীতে বাঙালির ঐতিহ্য, ধারক বাহকের স্মারকস্বরুপ বিভিন্ন খেলার আয়োজন করা হয়।
জেলা প্রশাসনের মঙ্গল শোভাযাত্রায় সিলেট জেলা প্রশাসক নুমেরী জামান, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল, সংস্কৃতিব্যক্তি রজত কান্তি গুপ্ত সহ প্রশাসনিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি, লিডিং ইউনিভার্সিটি, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, সিলেট অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, এমসি কলেজ, মহিলা কলেজ, মদনমোহন কলেজসহ সিলেটের প্রায় সবকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্ষবরণ করা হচ্ছে বর্ণাঢ্য আয়োজনে। নগরীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোও বর্ষবরণ উপলক্ষে কর্মসূচি পালন করছে। বিভিন্ন উপজেলা সদর ও গ্রামাঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও ব্যাপক কর্মসূচির মাধ্যমে বর্ষবরণ চলছে।
বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে যেকোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সিলেট মহানগরী আইনশৃঙখলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। নগরীর প্রতিটি মোড়ে, পয়েন্টে রয়েছে পুলিশের কড়া নিরাপত্তা।
বার্তা বিভাগ প্রধান