দীর্ঘ দশ বছর পর ঘরের মাঠে টেস্ট ফেরার সিরিজ জয়ে রাঙালো পাকিস্তান। রাওলপিন্ডিতে বৃষ্টি বিঘ্নিত প্রথম টেস্ট ড্র হয়। আর করাচির দ্বিতীয় টেস্টে ২৬৩ রানের বড় জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। চতুর্থ দিন শেষে জয়ের উপলক্ষ্য তৈরি করে রেখেছিল স্বাগতিক পাকিস্তান। শেষ দিন মাত্র ১৬ বলে শ্রীলঙ্কার শেষ তিন উইকেট নেয় পাকিস্তানি বোলাররা। লঙ্কানরা এদিন চতুর্থ দিনের স্কোরের সঙ্গে এক রানও যোগ করতে পারেনি। এদিন ৬১ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে কমবয়সী ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে ৫ উইকেট তুলে নেন নাসিম শাহ। মাত্র ৪ দিনের জন্য স্পর্শ করতে পারেন নি সাবেক পাকিস্তানি নাসিম উল গনির রেকর্ড ।
নাসিম উল গণি ১৬ বছর ৩০৩দিন বয়সে বয়োকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে ৫ উইকেট পান। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে ৪৭৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২১২ রানে অলআউট হয় লঙ্কানরা। ৩১ রানে ৫ উইকেট নেন নাসিম শাহ।
২০০৯ সালের মার্চে লাহোরে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় পাকিস্তানে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। এই সিরিজ দিয়ে টেস্ট ক্রিকেট ফিরল পাকিস্তানে। আজ (সোমবার) পঞ্চম দিন সকালে প্রথম বলেই এম্বুলদেনিয়াকে ফিরিয়ে দেন নাসিম। পরের ওভারে আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান ওশাদা ফার্নান্দোকে তুলে নেন ইয়াসির শাহ।
ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া তরুণ ডানহাতি ফিরেছেন ১০২ রানে। পরের ওভারে সবচেয়ে কম বয়সী পেসার হিসেবে টেস্টে ৫ উইকেট পাওয়ার রেকর্ড গড়েন নাসিম শাহ। পঞ্চম দিনের তৃতীয় ওভারে বিশ্ব ফার্নান্দোকে এলবিডব্লিউ করে সফরকারীদের গুটিয়ে দেন ১৬ বছর বয়সী নাসিম। দ্বিতীয় সবচেয়ে কম বয়সী পেসার হিসেবে টেস্টে ৫ উইকেট পাওয়ার রেকর্ডটা এত দিন ছিল তারই স্বদেশি মোহাম্মদ আমিরের দখলে। মেলবোর্নে ১৭ বছর বয়সে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫ উইকেট নেন আমির। প্রথম পাকিস্তানি হিসেবে ক্যারিয়ারের প্রথম দুই টেস্টে সেঞ্চুরির কীর্তি গড়া আবিদ আলি হন ম্যাচ ও সিরিজ সেরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ১৯১
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ২৭১
পাকিস্তান ২য় ইনিংস: ১৩১ ওভারে ৫৫৫/৩ (ডিক্লেয়ার)
শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস: ৬২.৫ ওভারে ২১২ ( ফার্নান্দো ১০২, ডিকওয়েলা ৬৫, ম্যাথিউস ১৯; নাসিম ৫/৩১, ইয়াসির ২/৮৪, হারিস ১/১০)
ফলাফল: পাকিস্তান ২৬৩ রানে জয়ী
সিরিজ: পাকিস্তান (১-০)
ম্যান অব দা ম্যাচ: আবিদ আলি
ম্যান অব দা সিরিজ: আবিদ আলি
প্রতিনিধি