বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর ও তার অনুসারীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। হামলায় নুরসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। পরে প্রক্টরের সহযোগিতায় সাতজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আজ রোববার বেলা পৌনে ১টার দিকে এ হামলা চালানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ডাকসু ভবনের মূল ফটক বন্ধ করে নুরের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়া বাইরে থেকেও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা ডাকসুতে ইট-পাটকেল ছুড়ছেন। জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী এ হামলায় অংশ নেন। এ সময় ডাকসুর সদস্য ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম ঐতিহ্য তাদের বাধা দিতে গেলে তাকেও শিবির আখ্যা দিয়ে লাঞ্ছিত করেন তারা।
পরে সূর্যসেন হল সংসদের ভিপি মারিয়াম জামান সোহান এবং জিএস সিয়াম হামলায় অংশ নেন। তারাও লাঠিসোটা নিয়ে ভিপি নুর এবং অনুসারীদের মারধর শুরু করেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতি এখনো শান্ত হয়নি। সেখানে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা।
হামলার পর আহত অবস্থায় ভিপি নুরের ফেসবুক থেকে এক ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ‘আমাদের অবস্থা খুব খারাপ। আমাদের রুমের মধ্যে লাইট বন্ধ করে বাঁশ-রড দিয়ে মেরেছে। সবার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। আমরা ডাকসু ভিপি নুরের অফিসে অবরুদ্ধ। আমাদের সবাই রক্ষা করুন।’
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি-প্রক্টরসহ পুলিশের সাহায্য কামনা করেন তিনি।বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসেনি জানিয়ে রাশেদ আরও বলেন, ‘প্রক্টরকে আমাদের ওপর হামলার আগে বারবার বলেছি, স্যার আমাদের ওপর হামলা হচ্ছে, প্রক্টর স্যার আসেননি। আমাদের বলেছেন, তোমরা ডাকসুর প্রতিনিধি না। সূত্র: আমাদেরসময়
প্রতিনিধি